দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ৪ সেপ্টেম্বর: বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরে কোনো ‘ফুটো’ নেই (No Severe Ozone Depletion in the tropical stratosphere)। তা অক্ষত অবস্থায় আছে। এর থেকে মানুষের শরীরে কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই (No health threat)। আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এলো এমনই তথ্য। সম্প্রতি, আইআইটি খড়্গপুরের (IIT Kharagpur) সমুদ্র, নদী, বায়ুমন্ডল সম্বন্ধীয় ‘কোরাল’ (CORAL) বিভাগের অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথ (Jayanarayanan Kuttippurath)-র নেতৃত্বে একদল আন্তর্জাতিক গবেষক “সাম্প্রতিক দশকগুলিতে গ্রীষ্মমন্ডলীয় স্ট্রাটোসস্ফিয়ারে কোনও গুরুতর ওজন হ্রাস (বা, ফুটো কিংবা গর্ত) নেই” (No Severe Ozone Depletion in the Tropical Stratosphere in Recent Decades) শিরোনামে যে গবেষণা চালান, তাতেই উঠে এসেছে এমন যুগান্তকারী তথ্য।
উল্লেখ্য যে, পূর্ববর্তী প্রায় পাঁচ দশক ধরে অর্থাৎ ১৯৮০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গবেষণায় যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তাতে গ্রীষ্মমন্ডলীয় বা ক্রান্তীয়বলয়ের (Tropical Stratosphere) ওজোন স্তরে (Ozone layer) ‘ফুটো’ থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। তা ‘ভুল’ বা ‘অসম্পূর্ণ’ গবেষণা বলেই দাবি করেছেন অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বাধীন গবেষকরা। তাঁদের মতে, এর আগের গবেষণা করা হয়েছিল ভুপৃষ্ঠ থেকে বায়ুমন্ডলের ১১ কিলোমিটারের মধ্যে। তাতে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তাঁদের (অধ্যাপক জয়নারায়নণ কুট্টিপুরথের নেতৃত্বাধীন গবেষক দলের) গবেষণা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫-২০ কিলোমিটার উচ্চতায়। এতে তাঁরা যেমন ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে সূর্যের ‘অতিবেগুনী রশ্মি’র বিকিরণ উপগ্রহ থেকে লক্ষ্য করেছেন; ঠিক তেমনই স্ট্র্যাটোসস্ফিয়ার বা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের দ্বিতীয় নিম্নস্তরে এর ক্ষতিকর প্রভাবও খতিয়ে দেখতে পেরেছেন। ৩০ ডিগ্রি সাউথ ৩০ ডিগ্রি নর্থ, এই প্রক্রিয়ায় উপগ্রহ ক্যামেরার মাধ্যমে বায়ুমন্ডলের ওজোন স্তরের অবক্ষয় তাঁরা লক্ষ্য করেছেন। তারপরই সিদ্ধান্তে এসেছেন ওজোন স্তর ‘অক্ষত’ থাকার বিষয়টিতে। তাঁদের মতে, ওজোন স্তরের গড় ওজোন ভ্যালু ২৬০ ডবসন ইউনিট (ডিইউ)। বর্তমানে তা রয়েছে ২২০ ডিইউ। যা ঠিকঠাক বলেই মনে করেছন গবেষকরা। ফলে, পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র, যেকোনও প্রাণী, গাছপালা থেকে শুরু করে মানুষের ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।