দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৫ জুলাই: লক্ষ্মীর ভান্ডার-ই আসলে ভোটের ভান্ডার! মনে করছেন বিরোধীরাও। তাই, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে কখনও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আবার কখনও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কন্ঠে শোনা যাচ্ছে, “আমরা ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়িয়ে ২০০০ (৫০০ থেকে) করব।” একধাপ এগিয়ে শুভেন্দু মন্তব্য করেছেন, “আমরা ক্ষমতায় এলে ক্যাবিনেটের প্রথম বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত পাস করা হবে।” আর, বিজেপির এই ঘোষণা বা প্রচারকেই মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের সভা থেকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, “বর্তমানে দেশের প্রায় ১২টি রাজ্যে বিজেপি বা তার শরিক দলের সরকার রয়েছে। তার একটিতেও বিজেপি লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্প চালু করে দেখাক। ২০০০ টাকা নয়, যেকোন একটি রাজ্যে আপনারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা দিয়ে দেখান। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব! চ্যালেঞ্জ করছি।”
ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বেনজির দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী’র মধ্যে। একদিকে, বিজেপি তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিশ্রুতি, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের অঙ্ক ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করা হবে। অন্য দিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতায় থাকা ১২ রাজ্যের যে কোনও একটিতে বিজেপি ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্প চালু করে দেখাক। তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! নারায়ণগড়ের বাখরাবাদ জগন্নাথ মন্দির মাঠের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এও মন্তব্য করেন, “একটা সময় এই লক্ষীর ভান্ডারকে বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করেছিল। বলেছিল ভিক্ষে দিচ্ছে। হঠাৎ কি এমন হয়ে গেল যে সেই লক্ষ্মীর ভান্ডার-ই ভগবানের প্রসাদ হয়ে গেল!” অভিষেক এও বলেন, “আপনাদের প্রাপ্য ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখে, আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখে, রাস্তার টাকা আটকে রাখে, সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা আটকে রাখে; তারা আপনাদের অনুদান দেবে, বিশ্বাস করেন?” অভিষেকের সংযোজন, “বিজেপি যদি কোথাও একটি আসনেও জেতে, তবে সেই জায়গার উন্নয়ন থমকে যাবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি। তাই, অন্য কাউকে নয়, জোড়া ফুলের প্রার্থীদের ভোট দিন।”