দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ নভেম্বর: মেদিনীপুর বিধানসভার অধীন মেদিনীপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ১৭৬নং বুথে ভুয়ো ভোট দেওয়ার অভিযোগ! ভোটার তুষার বিশ্বাস মেদিনীপুর মিশন গার্লস আরবান জুনিয়র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘মডেল বুথে’ ভোট দিতে এসে শুনলেন তাঁর ভোট হয়ে গেছে! এরপরই, তিনি নিজের সচিত্র পরিচয় পত্র সহ প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানান। খবর পেয়েই উপস্থিত হন সেক্টর অফিসার নজরুল ইসলাম। তাঁরা ওই ভোটারের সচিত্র পরিচয়পত্র দেখার পর অভিযোগ কার্যত ‘স্বীকার’ করে নেন। সেই সঙ্গে টেন্ডার ব্যালটের মাধ্যমে প্রকৃত ভোটারের (তুষার বিশ্বাসের) ভোটদানের ব্যবস্থা করেন অর্থাৎ ভোটিং চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেক্টর অফিসার জানান বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর নিরুপমা কোনার সিট ও তাঁর স্বামী সুনীতি শিট-কে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলেরই ওয়ার্ড সভাপতি চন্দ্রশেখর তেওয়ারি গোষ্ঠীর লোকজনদের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্য রাস্তায় মারধরের পরই আহত কাউন্সিলর স্বামীকে নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে পুলিশি ঘেরাটপে তাঁকে হাসপাতাল থেকে বের করে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, চন্দ্রশেখর তেওয়ারি গোষ্ঠীর অভিযোগ, পুরো নির্বাচনী পর্বে বা প্রচার পর্বে নিষ্ক্রিয় ছিলেন কাউন্সিলর নিরুপমা কোনার সিট ও তাঁর স্বামী। আজকে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাউন্সিলরের স্বামী মদ্যপ ছিলেন বলেও অভিযোগ!
এদিকে, বুধবার উপনির্বাচনের শেষ লগ্নে মেদিনীপুর শহরের ২১নং ওয়ার্ডের জোড়া মসজিদ সংলগ্ন হাই মাদ্রাসার বুথে এক CAPF জওয়ান মদ্যপ অবস্থায় ভোটারদের হেনস্তা করছিল বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় হাজরা। তিনি বলেন, কর্তব্যরত ওই জওয়ান নানা ভাবে ভোটারদের বাধা দান করছিলেন বা রাস্তা আটকাচ্ছিলেন। তাঁকেও হেনস্থা করা হয়। এই বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তরফে। পরে মাইকিং করে এলাকা খালি করে দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।