দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ মে: ৮০ দিনের মাথায় এবার প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের (Madhyamik Results 2024) ফলাফল। এবার পাশের হার সামান্য বেড়ে হয়েছে ৮৬.৩১ (গত বছর ছিল ৮৬.১৫) শতাংশ। পাশের হারে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কালিম্পং জেলা। এই জেলায় পাশের হার ৯৬ শতাংশের বেশি। এরপর, যথাক্রমে- পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুর (৯১.৪ শতাংশ)। মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ৫৭ জন। মেধাতালিকায় সর্বাধিক ৮ জন আছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে। দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৭ জন করে মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছে। বীরভূম, মালদা ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৪ জন করে মেধাতালিকায় জায়গা পেয়েছে। মেধাতালিকায় পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম প্রভৃতি জেলা থেকে একজন করে আছে।

thebengalpost.net
বাবা-মা’র সঙ্গে চন্দ্রচূড় সেন:

এবার, মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কুচবিহার জেলার চন্দ্রচূড় সেন (৬৯৩)। তিনি রামভোলা হাই স্কুলের ছাত্র। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু (৬৯২)। তৃতীয় হয়েছে ৩ জন, যথাক্রমে- দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে উদয়ন প্রাসাদ (বালুরঘাট হাই স্কুল), বীরভূম থেকে পুষ্পিতা বাসুলি (নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভ: হাই স্কুল) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে নৈঋত রঞ্জন পাল (নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন)। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৪ জন মেধাতালিকায় (প্রথম দশে) জায়গা করে নিয়েছে। চারজনই জেলা শহর মেদিনীপুরের বাসিন্দা। ২ জন আবার ‘ঐতিহাসিক’ মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। পশ্চিম মেদিনীপুরের এই চার কৃতী হল যথাক্রমে- মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ সাহু (ষষ্ঠ স্থান, ৬৮৮); মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা পাল (অষ্টম স্থান, ৬৮৬); মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ধৃতিমান পাল (নবম স্থান, ৬৮৫) এবং মেদিনীপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যাভবনের অগ্নিভ পাত্র (দশম স্থান, ৬৮৪)। প্রত্যেকেই জেলা শহর মেদনীপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

thebengalpost.net
মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল:

ষষ্ঠ স্থানাধিকারী কৌস্তভের বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ধর্মা সংলগ্ন আনন্দপুরে। বাবা সূর্যেন্দু বিকাশ সাহু এবং মা মৌসুমী মন্ডল সাহু দু’জনই পেশায় শিক্ষক। কৌস্তভ বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। অবসর সময়ে মনীষীদের জীবনী পড়ে, টিভি দেখে এবং ক্রিকেট খেলে। এদিন ফলাফল প্রকাশের পরেই তার বাড়িতে খুশির হাওয়া! কৌস্তভের মা মোসুমী দেবী জানান, “ছেলে ভালো রেজাল্ট করবে আশা করেছিলাম। তবে, ষষ্ঠ স্থান অর্জন করবে, ভাবিনি! আমরা খুব খুশি। পরিবার, নিজের স্কুল ও জেলার মুখ উজ্জ্বল করতে পেরেছে ও।” (আরও বিস্তারিত পরবর্তী খবরে।)

thebengalpost.net
বাবা-মা’র সঙ্গে কৌস্তভ সাহু: