দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ মার্চ:স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে মাধ্যমিকে বসা নিয়ে চরম সংশয় তৈরি হল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের গোদাপিয়াশাল চারুবালা গার্লস হাই স্কুলের ছয় ছাত্রীর। জানা গেছে, ছাত্রীদের মাধ্যমিকে বসার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি নবম শ্রেণীতে, তাই তারা এখনও হাতে এডমিট কার্ড পায়নি! স্কুলের এই ভুলে তারা মাধ্যমিকে বসতে পারবেনা বলে অভিযোগ। কৃষ্ণা ভূঁইয়া, মৌমিতা রাউত, অষ্টমী রুইদাস, নিশা দুবে, সংগীতা ভূঁইয়া ও সোনালী সিং-রা এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না! জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেই তারা এইভাবে ধাক্কা খেল। ছাত্রীদের প্রশ্ন, “নাইনে যখন রেজিস্ট্রেশন হয় তখন লকডাউন চলছিল। যার ফলে আমরা জানতে পারিনি। আর স্কুলও আমাদের জানায়নি। কিন্তু, যখন আমরা ক্লাস টেনে উত্তীর্ণ হই, ক্লাসে বসি, ক্লাস করি, তখনও স্কুল থেকে আমাদেরকে জানালো না যে, নাইনে আমাদের নাম রেজিস্ট্রেশন হয়নি! নাইনে যদি রেজিস্ট্রেশন না হয়ে থাকে, তাহলে আমরা টেন পাশ করলাম কি করে, টেনের ক্লাস করলাম কি করে, এমনকি আমরা টেস্ট পরীক্ষায় বসলাম কি করে? এখন মাধ্যমিকের সময় জানতে পারছি, রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার জন্য আমরা মাধ্যমিকে বসতে পারছিনা। আমাদের এই এক বছর নষ্ট হয়ে যাবে এটা দায় কে নেবে?”

thebengalpost.net
গোদাপিয়াশাল চারুবালা গালর্স স্কুলের ছাত্রীরা :

ঘটনায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে ওই ছাত্রীরা। সঙ্গীতা ভূঁইয়া বলে, “আমার তো জীবনটাই শেষ হয়ে গেল! এইরকম ভাবে স্কুল আমাদের মিসগাইড করল।” বৃহস্পতিবার ছুটির সময় অভিভাবকরা গিয়ে দিদিমণিদের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু, কোনো সুরাহা না হওয়ায়, স্থানীয় পঞ্চায়েত নুপুর মাহাতো ও পুলিশকে জানানো হয়। তাতেও ছাত্রীদের পরীক্ষার বিষয়ে কিছুই সুরাহা হয় না। ছাত্রীরা বলে, “গতকাল পুলিশ আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল, পরীক্ষা যদি দিতে না পারা যায়, তাহলে একটা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” মাধ্যমিক দিতে না পারা আরেক ছাত্রী মৌমিতা রাউত বলে, “ক্ষতিপূরণ দিলেও আমাদের এই একটা বছর খি আর ফিরে আসবে! আমরা যে উৎসাহ নিয়ে পড়াশোনা করছিলাম সেই উৎসাহ কি আর আসবে?”এই বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পিয়ালী সেনগুপ্ত’র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ওদের বিষয় নিয়েই কলকাতা শিক্ষাভবনে এসেছি। দেখছি কতটা কি করা যায়! ওরা যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে, সেই চেষ্টাই করছি।” তবে, নবম শ্রেণীতে রেজিস্ট্রেশন করা হলোনা কেন, সেই বিষয়ে কোনো সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখান থেকে ফিরে বিষয়টা নিয়ে বলবো। এই মুহূর্তে আমি ব্যস্ত।”