দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩১ জুলাই: একেই বলে চাপ! বাপ বাপ বলে টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হল। স্লোগান ছিল, “বদলা নয় বদল চাই!” হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান নয়। দিদির সব ভাইয়েরাও তাই! ২০১১ সালে তাই পালাবদলের পর বিভিন্ন জায়গাতেই CPIM নেতা-কর্মীদের জরিমানা করা হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা এলাকাতেও ঘটেছিল সেই ঘটনা! ঠিক এগারো বছর পর অভিজিৎ-অস্ত্রে ঘায়েল শাসকদলের সেই সমস্ত কর্মীরা। বেআইনিভাবে অর্থ লুট করে পার্থ আজ ইডি’র হাতে বন্দী! তা থেকেই শিক্ষা নিলেন ডেবরার শাসকদলের সেই সমস্ত কর্মীরা। না চাইতেই, জরিমানা করা সিপিআইএম কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ‘টাকা’ ফেরত দেওয়া শুরু করলেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন সরগরম।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৭ নং মলিহাটী অঞ্চলের নরহরিপুরের। ২০১১ সালে পরিবর্তনের পর সিপিএম করার অপরাধে মলিহাটী অঞ্চলের প্রায় ১৬৫ জন সিপিএমের কর্মীর কাছ থেকে জরিমানা স্বরূপ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দিতে হয়েছিল মোটা টাকা। জীবন বাঁচাতে সোনাদানা বন্ধক দিয়ে বা চড়া সুদে টাকা নিয়ে দিয়েছিলেন শাসক দলের নেতাদের। পরিবর্তনের ১১ বছর পর সেই টাকা ফেরৎ দিতে শুরু করলেন তৃনমূল নেতারা। এসএসসি দুর্নীতিতে জড়িয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিভিন্ন ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা! সেই সময়ই একপ্রকার চাপে পড়ে ডেবরার তৃণমূল নেতারা এই ‘পথ’ বেছে নিলেন।

thebengalpost.net
কি‌ দিন গেছে সেই সময়!

জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে, চকমাধু ও নরহরিপুরে যথাক্রমে- মাধব সামই ৫ হাজার টাকা, কিংকর মান্না ৩০ হাজার টাকা, মদন জানা ১৫ হাজার টাকা, মানস পাল ৯৮ হাজার টাকা ফেরৎ পেয়েছেন। এও জানা গিয়েছে, মোট ১৬৫ জনের মধ্যে এই চারজন পেয়েছেন টাকা। বাকিদেরও ধাপে ধাপে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসিত বেরার দাবি, “এই ঘটনার সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ আছে বলে আমার জানা নেই। কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে টাকা নিয়ে থাকে সেটা দলকে জানিয়ে করেনি। আপাতত এখন অবধি আমার কাছে এ ধরনের কোনও খবর নেই। আমার মনে হয় কেউ বা কারা তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম করার জন্য এই কুৎসা বা বদনাম ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।” তিনি যাই বলুন, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি জানিয়েছেন, “এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। যদি, ব্যক্তিগতভাবে কেউ টাকা নিয়ে থাকে, তাঁকে ফেরত দিতে হবে!” সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, “মানুষের চাপে আজ নয় কাল তৃণমূলকে মাথা নত করতেই হতো!”

thebengalpost.net
অবশেষে ফেরত পাওয়া গেল টাকা :