তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ মার্চ :বিজেপি কর্মী। তাই শাসকদল চাপ দিচ্ছে। অগ্যতা হিমঘরের অস্থায়ী কর্মীকে কাজে যোগ দিতে নিষেধ মালিক পক্ষের।মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার একটি হিমঘরের এক অস্থায়ী কর্মী। চন্দ্রকোনা থানার রাধাবল্লভপুর এলাকার একটি হিমঘরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ওই হিমঘরে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করে আসছেন রাধাবল্লভপুর এলাকারই বাসিন্দা ধনঞ্জয় পন্ডা। ধনঞ্জয় বিজেপির চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতির পদেও রয়েছেন। ধনঞ্জয়ের অভিযোগ, “কয়েকবছর ধরে আলুর তোলার এই সময়ে মহাপ্রভু হিমঘরে দৈনিক পারিশ্রমিক হিসাবে অস্থায়ী কর্মীর কাজ করে আসছি। এবছরও প্রথম দিন কাজে যোগ দিই। কিন্তু, তারপর মালিকপক্ষ থেকে ফোন করে বলা হয় তুমি বিজেপি করো। তা নিয়ে শাসকদলের চাপ রয়েছে।” বিজেপির কোনও ছেলেকে কাজে নেওয়া যাবেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁকে কাজে আসতে নিষেধও করা হয় বলে অভিযোগ ওই অস্থায়ী কর্মীর।

thebengalpost.net
অভিযোগ হিমঘরের বিরুদ্ধে:

এই বিষয়ে মহাপ্রভু হিমঘর কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া নিতে গেলেও, তাঁরা ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চাননি! অনেক চাপাচাপির পর মালিক পক্ষের তরফে দিবাকর ধাওয়া বলেন, “যে পাঠিয়েছে সেই ধনঞ্জয় পন্ডার সাথে কথা বলুন আমি কিছু বলবো না।” এরপরই তিনি ওই অস্থায়ী কর্মীকে ফোন করার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নেন। তবে ফোনটি তিনি নন, প্রভাকর ধাওয়া নামের মালিকপক্ষের আরেকজন করেছিল বলে জানান। তিনি এও বলেন, “আমরা ধনঞ্জয় পন্ডাকে কাজে নেবো না বলে জানালেও, কিছু কনফার্ম করিনি।” এর বেশি অবশ্য কিছু বলতে চাননি দিবাকর ধাওয়া। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেন শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য নয়ন গোস্বামী। তিনি এবিষয়ে বলেন, “এরকম কোনও ঘটনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি,এবিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।আমরা যেহেতু শ্রমিক সংগঠন করি তাই আমাদের কাছে কে বিজেপি করে কে INTTUC করে তা না আমরা সবাইকে শ্রমিক হিসাবে মনে করি।শ্রমিক যদি কাজ করতে করতে কোনও সমস্যায় পড়ে সে যেই দলই করুক আমাদের কাছে এলে আমরা সবরকম সহযোগিতা করবো সংগঠনের পক্ষ থেকে।মালিকপক্ষেরও যদি কোনও শ্রমিককে নিয়ে সমস্যা থাকে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করি। এক্ষেত্রে শ্রমিক বা মালিক যেহেতু এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কেনই বা শাসকদলের নাম জড়ালো, সেই বিষয়েও খতিয়ে দেখা হবে।” এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক রং বিচার করে কাজে বাধার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।