thebengalpost.net
ঝাড়গ্রামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী:

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ঝাড়গ্রাম, ২৩ ডিসেম্বর: নতুন বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (National Education Society for Tribal Students)-এর তরফে সারা দেশে প্রায় ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। দেশের ৭৪০টি একলব্য মডেল আবাসিক স্কুলে (Ekalavya Model Residencial School/EMRS) এই পরিমাণ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নেওয়া হবে। এর মধ্যে, ২০০টি স্কুলে আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। শুক্রবার ঝাড়গ্রামে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যে একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল (EMRS) এবং ন্যাশনাল এডুকেশন সোসাইটি ফর ট্রাইবাল স্টুডেন্টস (National Education Society for Tribal Students)-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয় কয়েক মাস আগে।

thebengalpost.net
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা :

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ঝাড়গ্রামের বেতকুন্দরী ময়দানে সাঁওতালি ভাষার সংবিধানের স্বীকৃতি মেলার ২১-তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হবে এই স্কুলগুলিতে। সারা দেশে ৭৪০টি স্কুল গড়ে তোলা হচ্ছে এজন্য। ইতিমধ্যে, দেশ জুড়ে ২০০টি স্কুলে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে।” তিনি এও জানান, আগামী মার্চ মাস কিংবা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়াও ধাপে ধাপে শেষ করা হবে। নতুন স্কুল তৈরির কাজও চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে, মার্চ মাসের মধ্যে ২০০টি স্কুলে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া যে সম্পন্ন হয়ে যাবে তা স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একইসঙ্গে, ওই সময়ের মধ্যে সারা দেশে নতুন অনেক একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে বলেও আশাবাদী তিনি। তিনি বলেন, সারা দেশে একলব্য মডেল আবাসিক স্কুল নির্মাণের ক্ষেত্রে আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লকগুলাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও তাই করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকারকে বেশি নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকা যেন সঠিকভাবে ব্যবহার হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে।”