দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ মার্চ: বুধবার সকালে জঙ্গলের পাশের রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলেন আশেপাশের গ্রামের কয়েকজন। তীব্র দুর্গন্ধ অনুভব করেন তাঁরা! বেশ খানিকক্ষণ এদিক-ওদিক চোখ চালিয়েও কিছু খুঁজে পাচ্ছিলেন না। হঠাৎ একটা জায়গায় চোখ আটকে যায় তাঁদের। আশেপাশের শক্ত মাটির তুলনায় একটু অন্যরকম। যেন সম্প্রতি ওই জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে বা মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে! আর, দুর্গন্ধটা যেন ওই জায়গা থেকেই বেরিয়ে আসছে। এমনটা মনে হওয়ার পরই নিকটবর্তী থানায় ফোন করেন তাঁরা।‌ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জঙ্গল অধ্যুষিত শালবনী ব্লকের (৬ নং অঞ্চলের) আঁধারমারা এলাকার। বুধবার সকালে এলাকাবাসীর ফোন পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিকটবর্তী পিড়াকাটা ফাঁড়ির পুলিশ। ‘কিছু একটা’ ইঙ্গিত পেয়েই তাঁরা খবর দেন শালবনী থানায়। এরপরই, আইসি গোপাল বিশ্বাসের নেতৃত্বে শালবনী থানার পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পৌঁছন বিডিও প্রণয় দাসও। শুরু হয় খোঁড়াখুঁড়ি। মাঝ জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় এক মাঝ বয়সী ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ!

thebengalpost.net
খোঁড়াখুঁড়ি জঙ্গলে:

বুধবার দুপুরে শালবনীর ৬ নং ভীমপুর অঞ্চলের আঁধারমারা এলাকার জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে এভাবেই এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে শালবনী থানা ও পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট। বিডিও প্রণয় দাস এবং শালবনী থানার আইসি গোপাল বিশ্বাসের উপস্থিতিতে এই দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে শালবনী থানা ও পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট সূত্রে বুধবার বিকেল নাগাদ জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে এও জানা গেছে, বুধবার সকালে স্থানীয়রা ওই জঙ্গল রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ অনুভব করেন। তারপরই তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় পিড়াকাটা পুলিশ পোস্ট ও শালবনী থানার পুলিশ। পৌঁছন বিডিও প্রণয় দাসও। এরপর, শালবনী থানার আইসি’র নেতৃত্বে ওই জায়গার মাটি খুঁড়ে মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তির পচা গলা দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহের মধ্যে কোনো পোশাক আশাক ছিলোনা বলে জানা গেছে। তবে, এখনও অবধি ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। আপাত শান্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত শালবনীর মাঝ জঙ্গলে মাটিতে পোঁতা মৃতদেহ! তবে কি খুন? খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য পোঁতা হয়েছে দেহ? পুলিশ সূত্রে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মনে করা ৫-৭ দিন আগে দেহ পোঁতা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য শালবনী থানায় তেমন কোনো নিখোঁজ ডায়েরি হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বোঝা যাবে বলে জেলা পুলিশের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে।

thebengalpost.net
বিজ্ঞাপন (Advertisement):