মণিরাজ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জানুয়ারি: “স্বাধীনতা সংগ্রামী। বীর মহিলা। ওটা হেরিটেজ করতে হবে। ওরা কমিটি গড়ে আমাকে পাঠিয়েছে। আমি মুখ্যসচিবকে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওটা হেরিটেজ করে দিতে হবে। ইন্দ্রনীল তুমি নিজে দেখে নাও।” হ্যাঁ, পরাধীন ভারতবর্ষের প্রথম রাজনৈতিক বন্দিনী, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভিত নাড়িয়ে দেওয়া মেদিনীপুরের ‘বীরাঙ্গনা’ রানী শিরোমণির কর্ণগড়-কেই দ্রুত ‘হেরিটেজ’ ঘোষণা করার নির্দেশ দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে, হয়েছে সৌন্দর্যায়ন, ঘুরে গেছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের আধিকারিকরা, স্টেট প্রটেক্টেড মনুমেন্ট ঘোষণাও প্রায় হওয়ার পথে! বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠকে একথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল থেকে শুরু করে পর্যটন দপ্তরের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তবে, সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু সৌন্দর্যায়ন নয়, ‘হেরিটেজ’ মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। যদিও, মুখ্যমন্ত্রী-কে আশ্বস্ত করে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন মুখ্যমন্ত্রী-কে বলতে যান, “ওটা করে মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া-কে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে”। মুখ্যমন্ত্রী’র ধমক, “শুধু মানস ভুঁইয়াকে পাঠালে হবে, আমাকেও পাঠাতে হবে।” বোঝা গেল, রানী শিরোমণি’র আবেগ বিজড়িত কর্ণগড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত মনোযোগী। তাই শুধু, সৌন্দর্যায়ন বা স্টেট প্রটেক্টেড মনুমেন্ট-এ তিনি খুশি হবেন বলে মনে হচ্ছে না, রাণী শিরোমণি ঐক্যমঞ্চের সদস্যদেরও।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী শিরোমণি-র স্মৃতিধন্য ঐতিহাসিক কর্ণগড়-কে ‘হেরিটেজ’ঘোষণা করার জন্য প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে এই শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ। মঞ্চের পক্ষে নিসর্গ নির্যাস মাহাত, তন্ময় সিংহ প্রমুখরা এবং শালবনী পঞ্চায়েত সমিতি ও কর্ণগড়ের আপামর বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে দরবার করা হয়েছে জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে। শুধু তাই নয়, মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া, বিধায়ক জুন মালিয়া, প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে দাবি সম্মিলিত আবেদন পত্র। সেই দাবিপত্র যে পৌঁছে গেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তা বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠকে নিশ্চিত করে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত রানী শিরোমণি ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যেই। শুধু কর্ণগড় নয়; ‘জল জঙ্গলে ঘেরা’ গড়বেতার গনগনি-কেও দ্রুত পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, কটেজ নির্মাণ করতে। এই কাজও যে অনেকটাই এগিয়ে গেছে, তা জানিয়েছেন দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন কিংবা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল। তবে, আর্কিটেকচারের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। সেই সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে, বৃহস্পতিবারের মেগা প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী DM-SP দের পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর নজর শালবনী থেকে কেশপুর, খড়্গপুর থেকে গড়বেতা সর্বত্র আছে। জেলা পুলিশ সুপার-কে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘খড়্গপুরের দিকে নজর’ রাখতে। তবে, পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে.-কে রীতিমতো ‘ধমক’ দিলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার-এর কাজে তিনি যে সন্তুষ্ট, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন!
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, খড়্গপুর, ২২ নভেম্বর: আইআইটি (IIT)-র মতো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে অভাব…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…