দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ অক্টোবর: অভিনব ৩টি বিভাগে এবার ‘শারদ সম্মান- ২০২৩’ এর আয়োজন করেছিল আম্মা জনসেবা পরিষদীয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। মণ্ডপ, প্রতিমা বা আলোকসজ্জা নয়; শারদ সম্মানের জন্য বিভাগ ছিল- সমাজ সচেতনতা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা ও দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা। প্রতিটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী পুজো আয়োজকদের হাতে ষষ্ঠী ও সপ্তমীর সন্ধ্যায় তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার।
সমাজ সচেতনতা ও সামাজিক কর্মকাণ্ড বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে- দেশবন্ধু নগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে- রাজাবাজার সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে কেরানীটোলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি।
নিরাপত্তা ও দর্শনার্থী নিয়ন্ত্রণে প্রথম স্থান অধিকার করেছে- অরবিন্দ নগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে- অশোকনগর দুর্গাপূজা কমিটি, তৃতীয় স্থানাধিকারী- কর্ণেগোলা চিরসাথী ক্লাব।
পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে- বক্সীবাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে- কর্ণেগোলা আদি সর্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী সিপাইবাজার বয়েজ ক্লাব দুর্গাপূজা কমিটি। সমস্ত বিভাগ মিলিয়ে সেরার সেরা শারদ সম্মান পেলো মেদিনীপুর শহরের ১টি ও জঙ্গলমহলের (গ্রাম) ১টি পুজো কমিটি। মেদিনীপুর শহরে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে রাঙামাটি সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবং জঙ্গলমহলের সেরা পুজো উদ্যোক্তার স্থান অর্জন করেছে পিড়াকাটা বাজার দুর্গাপূজা কমিটি।
আয়োজকদের হাতে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় আম্মা সোসাইটির পক্ষ থেকে। এই পুরো কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক জয়ন্ত মণ্ডল, মণিরাজ ঘোষ, র্অণব দাস, নিসর্গ নির্যাস মাহাত এবং সোসাইটির পক্ষে দিলীপ কুমার পান, অসীম দাস বর্মন, নবীন কুমার ঘোষ, সুমন জানা, রাকেশ দাস, শাশ্বতী শাসমল, তন্ময় মাইতি প্রমুখ। অরবিন্দনগর পুজো কমিটির পক্ষ থেকে আম্মা সোসাইটির সদস্যদের সম্বর্ধিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য তথা সিএবি প্রতিনিধি সুজয় হাজরা সহ কমিটির সদস্যরা। উল্লেখ্য যে, শারদ সম্মান আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার ছিল- বেঙ্গল পোস্ট ডিজিটাল মিডিয়া, সময় বাংলা, নিউজ প্লাস বাংলা, দ্য মিডনাপুর টাইমস, আরকে নিউজ ডিজিটাল এবং দ্য পাবলিক প্রসিকিউটর। আম্মা জনসেবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এই প্রথম শারদ সম্মান আয়োজনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সূচী ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের অনয় মাইতি, হোটেল অন্নপূর্ণার সঞ্জিত পাল, গোকুল বৃন্দাবনের মৌসুমী বিশ্বাস প্রমুখ।