দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ ফেব্রুয়ারি:’দুয়ারে মদ’ থেকে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’। মেদিনীপুর শহরের ‘গোষ্ঠী রাজনীতি’ থেকে দাদার ‘হনুগামী’। ‘মেদিনীপুর চৌরসভা’ থেকে ‘কাটমানি শিল্প’। ব্যঙ্গচিত্রে জমে গেল মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ারের ঐতিহ্যমন্ডিত ‘বাণী বন্দনা’। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা শহর মেদিনীপুরের এই কলেজ রোড জুড়ে প্রতি বছর সরস্বতী পূজায় স্থান পায় নানা ব্যঙ্গচিত্র ও কার্টুন! সেই ঐতিহ্য এবারও বজায় থাকল। একদিকে, শাসকদল তৃণমূলের সমর্থক ক্লাবগুলি তাঁদের ব্যঙ্গচিত্রে তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণ সহ নানা ব্যর্থতা থেকে দাদার অনুগামীদের স্বপ্নভঙ্গের (ক্ষমতা দখলের) হতাশা! অন্যদিকে, তৃণমূল বিরোধী বিজেপি ঘনিষ্ঠ ও বাম ঘনিষ্ঠ ক্লাবগুলি তুলে ধরেছে, রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে মদ’; ‘পাঠশালা নয় পানশালা’; ‘কাটমানি শিল্প’ এবং মেদিনীপুর শহরের ‘গোষ্ঠী রাজনীতি’- কেন্দ্রিক ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন। এর মধ্যেও নজর কেড়েছে একটি ক্লাবের (অবসর) পরিবেশবান্ধব উপাদান দিয়ে তৈরি ‘হারানো শৈশব’ আর ‘বর্ণপরিচয়ের দিনগুলি’ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন! শুক্রবার, সরস্বতী পুজোর ঠিক আগের দিন মেঘলা আর বৃষ্টিস্নাত মেদিনীপুর শহরে দু’দুটি পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গেল। ‘অবসর’ এবং ‘খেলা হবে’ ক্লাবদুটির পুজো উদ্বোধন করলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া। ছিলেন, কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, মেদিনীপুর পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপারসন সৌমেন খান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুর শহরের এই বিখ্যাত থিম ভিত্তিক বাণী বন্দনায় অংশগ্রহণ করেন শহরের শিক্ষিত যুব সম্প্রদায় থেকে বিভিন্ন ছাত্র ও যুব সংগঠন। স্বভাবতই তাঁদের সৃজনশীল মানসিকতা থেকে উঠে আসে নানা বৈচিত্রময় ব্যঙ্গচিত্র ও কার্টুনের ভাবনা। লক্ষ্য একটাই, হাসির খোরাকের মধ্য দিয়ে জেলাবাসীর মনে নানা ভাবনার উদ্রেক ঘটানো। স্বভাবতই, বিভিন্ন দলের সমর্থক কিংবা সরাসরি দলের সঙ্গে যুক্ত পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের রাজনৈতিক ভাবধারার প্রকাশও ঘটান এইসব ব্যঙ্গচিত্রের মধ্য দিয়ে। শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনস্ক ও রাজনীতি সচেতন মেদিনীপুরবাসী প্রতি বছর সরস্বতী পুজোতে যেন এর অপেক্ষাতেই থাকেন। কারণ, তাঁরা মনে করেন, “সমাজ কখনও রাজনীতি বিবর্জিত হতে পারে না!” আর, যে সকল নেতা-নেত্রীদের ব্যঙ্গ করা হয়, তাঁরাও এতে কিছু মনে করেন না। বরং, এই ঐতিহ্য ও রীতিকে ‘স্বাভাবিক’ হিসেবেই গ্রহণ করেন, কিছুটা মুচকি হেসে আর সামান্য হতাশা নিয়ে!
এবারের পুজোতে যেমন ‘গরিমা’ ক্লাব তাঁদের ব্যঙ্গচিত্রগুলিতে রাজ্যের এক ‘কালারফুল’ মন্ত্রীর ভাইরাল ছবি সহ রাজ্য প্রস্তাবিত ‘দুয়ারে মদ’ প্রকল্প-কে তুলোধুনা করেছে! অন্যদিকে, মেদিনীপুর শহরের গোষ্ঠী রাজনীতিতে মেদিনীপুর শহরের বিধায়ক জুন মালিয়া’র ছবির অনুকরণে, কার্টুনে লেখা হয়েছে- “শহরের ল্যাতারা উদিকে যাস না! সব আমাকে দে”। সচেতন শহরবাসী মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে বিধায়কের সঙ্গে সম্প্রতি জেলা সভাপতি ও শহর সভাপতির মনোমালিন্যের কথা! পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি মন্তব্য করেছেন, “এই পুজোতে কাউকে সরাসরি আঘাত না করে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরাই রীতি”! পাশের একটি পুজো উদ্বোধনে এসে স্বয়ং জুন মালিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, “এসব নিয়ে মন্তব্য করার ইচ্ছে নেই। যাঁদের যেমন রুচি! আমি নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছ।” বরং, তৃণমূল ঘনিষ্ঠ একটি ক্লাবের মঞ্চ থেকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান আর মুখ্যমন্ত্রীর ‘জয়ধ্বনি’ দিয়ে পৌরভোটের আগে সমর্থকদের চাগিয়ে দিয়ে গেলেন তিনি! (আপডেট: এদিকে, নির্বাচনী বিধিভঙ্গের কারণে কিছু ব্যঙ্গচিত্র পরিবর্তন করা হয়েছে কয়েকটি ক্লাবের পক্ষ থেকে।)
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ নভেম্বর: দোকান বন্ধ করে রাতেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে।…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…