দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জানুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর ভীমপুর এবিএম গার্লস হাইস্কুলের এক শিক্ষিকা প্রায় ৪ মাস ধরে স্কুলে না এসেও বেতন পাচ্ছেন! ‘বেতনহীন’ ছুটি না নিয়ে আমেরিকায় গিয়েছেন; অথচ বেতন বন্ধ হয়নি! গত সপ্তাহে ঠিক এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই স্কুলের একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফে। এই বিষয়ে তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত-র কাজে অভিযোগ জানান শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) নাগাদ। ডিআই তাঁদের বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষকে বেতন বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।” বেঙ্গল পোস্টের প্রতিনিধিকেও ডিআই স্বপন সামন্ত ঠিক একই কথা বলেন সোমবার (২৭ জানুয়ারি)। এই ‘অভিযোগ’ প্রসঙ্গে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা (TIC)-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বেঙ্গল পোস্টের প্রতিনিধিকে বলেন, “আমি এ নিয়ে কিছু বলব না!” অন্যদিকে, তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ওই শিক্ষিকা ডিসেম্বর পর্যন্ত সত্যি সত্যিই বেতন পেয়েছেন। তারপরই বেঙ্গল পোস্টের তরফে “আমেরিকায় বসে বসেই বেতন পাচ্ছেন শালবনীর শিক্ষিকা? তদন্তের নির্দেশ ডিআই-র” শিরোনামাঙ্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে।
ওই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই অবশ্য শিক্ষিকার পরিজনদের তরফে জানানো হয়, “উনি নিয়ম মেনে সঠিক আবেদন করেই সন্তানদের নিয়ে বাইরে গিয়েছেন। ওঁর স্বামী বাইরে থাকেন।” কিছুক্ষণের মধ্যেই, ওই শিক্ষিকার তরফেও মেইল করে জানানো হয়, প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য একেবারেই ঠিক নয় বা বিভ্রান্তিকর। তিনি লেখেন, “আমি সেপ্টেম্বরের শেষের দিক থেকে অসুস্থ ছিলাম। পুজোর ছুটির আগের দিন ৫ অক্টোবর স্কুলে যাই এবং মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও দিই স্কুলকে। এরপর পুজোর ছুটি পড়ে যায়। সেই সময়ই আমি আমেরিকা আসি। পুজোর ছুটির পর (৫ নভেম্বর) থেকে ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত (৪৫ দিন) সিসিএল (child care leave) এবং ২১ ডিসেম্বর থেকে ‘বেতনহীন ছুটি’র আবেদন করেই আমি অসুস্থ স্বামীর কাছে আসি। স্কুল, ডিআই-র দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত জায়গায় পুজোর ছুটি চলাকালীন (২১ অক্টোবর, ২০২৪) আমি আবেদন জানাই। তাই আপনাদের প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য সম্পূর্ণ ভুল ও বিভ্রান্তিকর।” যদিও, বেঙ্গল পোস্টে প্রকাশিত হয়েছিল, “শিক্ষিকা চার মাস স্কুলে না এসেই বেতন পাচ্ছেন বলে অভিযোগ।” একথা ‘আইনত’ মিথ্যা নয়। তবে, তাঁর ছুটির বিষয়ে স্কুল এবং শিক্ষা দপ্তর বিন্দুমাত্র তথ্য না দেওয়াতেই, পূর্বের প্রতিবেদনে তা উল্লিখিত হয়নি। এই বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিআই (সেকেন্ডারি) স্বপন সামন্ত বলেন, “ওনার জানুয়ারি মাসের বেতন বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। আর আমি অন্তত ওনার অবেদনপত্র হাতে পাইনি। কতদিনের বেতন ফেরত দিতে হবে, সেটা স্কুল ছুটির হিসেব করে অমাকে জানাবে। সেই মতো পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জানুয়ারি: "সবাই বলছেন এরকম এক পবিত্র স্থানে বা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জানুয়ারি: মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি)-ই কলকাতার SSKM হাসপাতাল থেকে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জানুয়ারি: পুজোর আগের মাস (সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুলে আসছেন…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জানুয়ারি: এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। একই সারিতে বা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জানুয়ারি: এলাকার রোমিওদের ফোন নাম্বার দেয়নি। বরং রুখে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জানুয়ারি: আগের দিন রাতে মেলা গিয়ে একটি মদের…