দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জানুয়ারি: মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি)-ই কলকাতার SSKM হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কেশপুরের মিনারা বিবি। নাসরিন খাতুন, মাম্পি সিংয়ের সঙ্গেই গত ১২ জানুয়ারি (রবিবার) মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ‘গ্রিন করিডর’ করে থেকে তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। তিনজনকেই অ্যাডভান্স লাইভ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তিন জনই ছিলেন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে। তবে, নাসরিন ও মাম্পির তুলনায় দ্রুত চিকিৎসায় সাড়া দেন মিনারা। দু’একদিন আগেই তাঁকে জেনারেল বেডে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। অবশেষে, গতকাল (মঙ্গলবার) তাঁকে ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ১৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড। দুপুর নাগাদ সরকারি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি (পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের মাজুরিয়া)-র উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। তবে, বুধবার (৮ জানুয়ারি), মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সেই অভিশপ্ত রাতের পর থেকে প্রায় ২০ দিন পরেও সন্তানের মুখ দেখা হল না মিনারার। আজ (বুধবার) একুশাতেও সদ্যজাত পুত্রসন্তান বাড়িতে নেই! সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ শিশুটিকে ভর্তি করতে হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা ইউনিটের শিশু ওয়ার্ডে। ইউরিনের সমস্যা হচ্ছিল মিনারার শিশু সন্তানের। মিনারার স্বামী সেক মোজাম্মেল বলেন, “স্ত্রী বাড়ি ফিরল। তার আগেই ছেলেকে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে। দুশ্চিন্তা যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না!” শিশু বিভাগের প্রধান ডঃ তারাপদ ঘোষ বলেন, “ওর শরীরে একটি জন্মগত ত্রুটি আছে। আমরা পেটেন্ট ইউরেকাস (Patent urachus/ মূত্রনালির সমস্যা) বলে সন্দেহ করছি। দু’বার USG করা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালে পেডিয়াট্রিক সার্জেন নেই। তাই কলকাতা রেফার করার কথা ভাবা হচ্ছে।” যদিও, শিশুটির আর অন্য কোনও সমস্যা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, পেটে ইনফেকশন নিয়ে রবিবার থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা ইউনিটের SNCU-তে চিকিৎসাধীন মৃত প্রসূতি মামনি রুইদাসের সদ্যোজাত পুত্রসন্তান। তার শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সুপার ইন্দ্রনীল সেন বুধবার বিকেলে জানান, “দুই শিশুকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, সন্তান জন্ম দেওয়ার দু’দিনের মধ্যেই ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় (শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি) গড়বেতা থানার বাসিন্দা, বছর ২২-র মামনি রুইদাসের। আর, ৯ তারিখ (৯ জানুয়ারি) থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন মিনারা, নাসরিন, মাম্পি। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁদের সন্তানেরা মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্চিত! বাইরের প্যাকেট দুধের উপরই নির্ভরশীল একরত্তিরা। এ নিয়ে চিকিৎসক তারাপদ ঘোষ বলেন, “এটা এখনকার দিনে খুব একটা বিরল ঘটনা নয়। অনেক সুস্থ মায়েরও পর্যাপ্ত বুকের দুধ থাকেনা। আসলে প্যাকেট দুধের সাথে সাথেই যত্ন, পরিচর্যাটাও একটা বড় বিষয়। মায়েদের অভাব তো পূরণ করা সম্ভব নয়!”
অপরদিকে, প্রসূতি মৃত্যু তথা স্যালাইন কাণ্ড ও চিকিৎসায় গাফিলতির তদন্তে বুধবার দুপুরে ফের একবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছে যান সিআইডি আধিকারিকরা। তাঁরা প্রথমে কথা বলেন হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল সেনের সাথে। জানা যায়, বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কিত বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেন সিআইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি ঘটনার দিন অর্থাৎ ৮ তারিখের ইউনিটে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের সাথেও কথা বলেন সিআইডি আধিকারিকরা। সিআইডি আধিকারিকদের সাথে রয়েছে ভিডিও ক্যামেরা। সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে সিআইডির তরফে। যদিও, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, “এর আগে জেলা পুলিশের সেফ হাউসে ডেকে জুনিয়র ডাক্তারদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।” এদিনের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বুধবার দুপুর নাগাদ অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী জানিয়েছেন, “ওঁরা তদন্তের প্রয়োজনে এসেছেন। সুপারের রুমে গেছেন। যাঁকে প্রয়োজন ডাকবেন। এ নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জানুয়ারি: "সবাই বলছেন এরকম এক পবিত্র স্থানে বা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৯ জানুয়ারি: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনীর ভীমপুর এবিএম গার্লস…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জানুয়ারি: পুজোর আগের মাস (সেপ্টেম্বর) থেকে স্কুলে আসছেন…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জানুয়ারি: এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। একই সারিতে বা…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ জানুয়ারি: এলাকার রোমিওদের ফোন নাম্বার দেয়নি। বরং রুখে…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জানুয়ারি: আগের দিন রাতে মেলা গিয়ে একটি মদের…