দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২২ জুন: কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম বুধবারের শুনানিতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা’কে ভর্ৎসনা করে মন্তব্য করেছিলেন, “চাপ (বা, দায়িত্ব) সামলাতে না পারলে ছেড়ে দিন। নতুন কাউকে কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল।” আর, তার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা’র জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল ড. সি.ভি আনন্দ বোস। অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহার নিয়োগের বৈধতা কেড়ে নিলেন তিনি। গ্রহণ করলেন না ওই পদে তাঁর নিয়োগের জয়েনিং রিপোর্ট। নিজের সাংবিধানিক অধিকার বলেই এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। এমনটাই জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল। ফলে, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বুধবার মধ্যরাতের পর থেকে রাজীব সিনহা’র আইনি ক্ষমতা আদৌ কিছু থাকলো কিনা, তা নিয়েই এখন জোর আলোচনা।
অন্যদিকে, বুধবার গভীর রাতে রাজভবনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনায় রাজ্যপাল আহ্বান জানানোর পরও, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত না হওয়ায়, তাঁর জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠানো হয়েছে অর্থাৎ রাজভবনের তরফে তা গ্রহণ করা হয়নি। এর ফলে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক মুখে নির্বাচন কমিশনারের পদ নিয়েই সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে। রাজ্যের ইতিহাসে তা কার্যত নজিরবিহীন বলেই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট মহলের বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহাকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপালই। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহা যোগদানের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব সেই জয়নিং রিপোর্ট রাজভবনে পাঠিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টই ফেরত পাঠিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। যার অর্থ, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব সিনহা’র নিয়োগ একপ্রকার বাতিল করে দিলেন রাজ্যপাল।