দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ অক্টোবর: অসহনীয় সাংসারিক ও অর্থনৈতিক চাপ সহ্য করতে না পেরে, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন মেদিনীপুর শহরে অবস্থিত জল সম্পদ উন্নয়ন ও অনুসন্ধান দপ্তরের নিরাপত্তা কর্মী মানিক জানা। গত ৩০ আগস্ট (২০২১), পরিবারের সদস্যরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে, তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছিল, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। সেই মানিক জানা’র পরিবারের উদ্দেশ্যে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল এই দপ্তরের শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। তৃণমূল প্রভাবিত WRI & DD INTTUC রাজ্য সিকিউরিটি সংগঠনের নেতৃত্বরা রবিবার প্রয়াত মানিক জানা’র মেদিনীপুর শহরের উদয়পল্লীর বাড়িতে গিয়ে, তাঁর মা ও স্ত্রী-এর হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। সর্বোপরি, মানিক জানা’র একমাত্র ছেলে অনির্বাণ-কে তাঁর বাবার জায়গাতে, ওই একই দপ্তরে একটি সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ পট্টনায়েক এবং অলোক শীট প্রমুখরা।

thebengalpost.net
প্রয়াত কর্মীর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তা :

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একজন নিরাপত্তা কর্মী (সিকিউরিটি গার্ড) হিসেবে সামান্য বেতন, তার সঙ্গে বাড়িতে ক্যান্সারাক্রান্ত বাবার চিকিৎসার জন্য মাত্রাতিরিক্ত খরচ! কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয়েছে ভাইয়েরও। তাঁর সংসারের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছিল। এখনও কাজ পায়নি নিজের বছর ২১-২২ এর ছেলে।‌ সবমিলিয়ে, বছর ৫০ এর মানিক জানা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল। চরম অসহায় হয়ে পড়েছিল ওই পরিবার। কারণ, পুরো সংসারটাই চলত মানিকের আয়ে। নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করা ছাড়াও, বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি বা দেওয়াল লিখনের কাজও করতেন তিনি। তবে, শেষমেষ মানসিক অবসাদে বেছে নিয়েছিলেন আত্মহননের পথ। সেই পরিবারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে, নিঃসন্দেহে মানবিকতার নজির গড়লো এই নিরাপত্তারক্ষীদের শাসকদল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনটি। মানিক জানা-র ছেলে অনির্বাণ সংগঠনের নেতৃত্বদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।