তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ ডিসেম্বর: তৃণমূল প্রভাবিত পরিচালন কমিটির দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব! তা গড়াল আদালত পর্যন্ত। আর, সেই আদালতের নির্দেশেই ভাঙা শুরু হল দোকানঘর। পথে বসল পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৭ টি পরিবার! দোকান বাঁচাতে প্রশাসনের আধিকারিকদের পা ধরে কাঁদলেন অসহায় মানুষগুলি। তাতেও শেষ রক্ষা হলনা! আদালতের গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে, মঙ্গলবার থেকে দোকান-বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করল প্রশাসন। দোকান রক্ষার জন্য প্রশাসনের আধিকারিকদের পা ধরে কান্নাকাটি করেও শেষ রক্ষা হলনা!

thebengalpost.net
বিক্ষোভ-হাহাকার পরিবারগুলির :

জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রামজীবনপুর পৌরসভার রামজীবনপুর এলাকায় অবস্থিত রামজীবনপুর বাবুলাল বিদ্যাভবনের একটি পুকুর পাড় ভরাট করে বড় বিল্ডিং করে সেখানে ব্যবসা করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বছর দশেক আগে দোকান ভাড়া দেয়। আর সেই সময় পুকুর ভরাট করে দোকান ভাড়া দেওয়া নিয়ে, স্কুল পরিচালন কমিটির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে, তৃণমূল পরিচালিত স্কুল কমিটির একপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু, এলাকার সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির অন্য পক্ষ লক্ষ লক্ষ টাকা জমা নিয়ে এবং মাসিক ২০০ টাকা ভাড়া বাবদ, ১৭ জনকে এই বাড়িগুলি ভাড়া দেয়। এর মধ্যেই, আদালত নির্দেশ দেয় ওই বাড়িগুলি অবিলম্বে ভেঙে দিতে হবে।

thebengalpost.net
ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এই দোকানঘরগুলি :

আর, আদালতের সেই নির্দেশ আসতেই মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো বাড়ি ভাঙার কাজ। ফলে, অসহায় হয়ে পড়েছেন ১৭ টি পরিবার। কারণ, এই দোকানের উপরেই তাঁদের জীবিকা নির্বাহ হত। এই দোকান ভেঙে দেওয়ার ফলে, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে তাঁদের! ইতিমধ্যে তাঁরা পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও ব্লক প্রশাসনের কাছে। এদিকে, আজ সকাল থেকে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হলে, ঘটনাস্থলে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরাও উপস্থিত আছেন ঘটনাস্থলে। অসহায় পরিবারগুলির অভিযোগ, তাঁদের কথা ভাবছেনা পৌরপ্রশান ও স্কুল কমিটি। তাঁদের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগও তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি।

thebengalpost.net
এই পুকুরপাড়েই গড়ে উঠেছিল অবৈধ নির্মাণ :