দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ জুন: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একই দিনে, মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বাজ পড়ে মৃত্যু হল ৪ জনের। খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকায় ৩ জনের এবং শালবনীতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার বিকেলে। এদিন বিকেল তিনটে সাড়ে-তিনটে নাগাদ এই ভয়াবহ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। ৪ জনের মৃত্যু ছাড়াও আহত হয়েছেন একাধিক জন। চলতি সপ্তাহের বুধবারও জেলায় বাজ পড়ে শালবনী ও গোয়ালতোড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শুক্রবার খড়্গপুর গ্রামীণের ভেটিয়া এলাকায় নির্মম বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কিশোরীর! আহত অপর এক কিশোরী। বিকেল তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত ভেটিয়া গ্রামের বড়া (অঙ্গারনালি) এলাকায়। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বড়া এলাকায় তিন কিশোরী জাম গাছের নিচে বসে জাম কুড়িয়ে খাচ্ছিল। আর, ঠিক সেই সময় আচমকা বাজ পড়ায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বছল ১৪’র পানি মুর্মু এবং বছর ১৫’র নীলমণি হাঁসদা নামে দুই কিশোরীর। তাঁদের সঙ্গে থাকা আরো এক কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত ভর্তি করা হয় খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। অন্যদিকে, খড়গপুর গ্রামীণ এলাকারই পাটনা গ্রামের সনকা মাহাত নামে বছর ৫০’র এক মহিলারও এদিন বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে।

thebengalpost.net
মৃত আশা রানী মাহাত :

অপরদিকে, বজ্রপাতে শালবনীতে মৃত্যু হল এক মহিলার, আহত অপর এক মহিলা। শুক্রবার বিকেল তিনটা নাগাদ শালবনীর বরাকুলি গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক মহিলার। আহত আরও একজন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম আশা রানী মাহাতো। বয়স ৫৩। আহত অপর মহিলার নাম অনিমা মাহাত। বয়স ৪০। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল তিনটা নাগাদ কৃষি জমি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বরাকুলি গ্রামের বাসিন্দা দুই মহিলা। হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আশা রানী মাহাতো নামে ওই মহিলা। আহত হন অনিমা মাহাত নামে অপরজন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানেই চিকিৎসকেরা আশা রানী মাহাতো নামে বছর ৫৩ ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বছর ৪০’র অনামা মাহাত-কে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে এই মুহূর্তে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনা ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।