দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ জুলাই: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা-৩ নং ব্লকের (চন্দ্রকোনা রোডের) ‘আবাসিক স্কুল’ পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু বিদ্যাপীঠের দুপুরের খাবার (বা, মিড-ডে মিলের খাবার) খেয়ে অসুস্থ হয় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। মঙ্গলবারের (৯ জুলাই) এই ঘটনায় অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করা হয় স্থানীয় দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রত্যেকেরই বমি, পায়খানা, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ। একজনকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। বুধবার সকালে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানান, “সবমিলিয়ে ১২৩ জন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়। একজনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে রেফার করতে হয়। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল থেকেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল টিম আছে। খাবারের নমুনা পাওয়া যায়নি, জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।”

thebengalpost.net
অসুস্থ পড়ুয়াদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে:

অভিযোগ, আবাসিক এই স্কুলের হোস্টেল থেকে দুপুরের যে খাবার বা মিড-ডে মিল দেওয়া হয়, তাতেই গন্ডগোল ছিল! প্রায় ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেলে থাকে। তাদের মধ্যে প্রায় সকলেরই অভিযোগ, “মিড-ডে মিলের চালে পোকা ছিল। স্যারদের বলার পরেও শোনেননি! উল্টে আমাদেরকে বলেছেন, কিছু হবেনা, খেয়ে নে।” মঙ্গলবার সেই খাবার খেয়ে স্কুলে পৌঁছনোর পরই একে একে প্রায় ১২৩ জন ছাত্র-ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের নিয়ে যাওয়া স্থানীয় হাসপাতালে। একজনকে মেডিক্যাল কলেজে পাঠাতে হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিনোদবিহারী মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিনের মতোই হোস্টেল থেকে ভাত-সবজি খেয়ে স্কুলে এসেছিল। স্কুলে আসার কিছুক্ষণ পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কি কারণে হল, খতিয়ে দেখতে হবে।” যদিও, চালে পোকামাকড় মেলার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

thebengalpost.net
চিকিৎসা চলছে অসুস্থ পড়ুয়াদের:

অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে গড়বেতা-২ নং ব্লকের গোয়ালতোড়ের হুমগড় মোড়ে অবস্থিত একটি মিষ্টির দোকান থেকে কেনা ‘জন্মদিনের কেক’ খেয়ে অসুস্থ হয় এক নাবালিকা। বিডিও-র তত্ত্বাবধানে রাতের মধ্যেই তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় কেওয়াকোল হাসপাতালে। অভিযোগ, ওই দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ (Expired) কেক রাখা হয়েছিল। কেকের নিচে রীতিমত ছত্রাক বাসা বেঁধেছিল! নষ্ট হয়ে যাওয়া সেই কেক খেয়েই অসুস্থ হয় গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা, ওই নাবালিকা। পরিবারের বাকিদেরও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। রাতেই ওই দোকানে প্রশাসনের তরফে অভিযান চালিয়ে সমস্ত মেয়াদোত্তীর্ণ (Expired) কেক বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই দোকান আপাতত বন্ধ রাখার কথা বলা হয় বলেও জানা গেছে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে।

thebengalpost.net
জন্মদিনের সেই কেক: