দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ১১ নভেম্বর: দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি (Chief Justice of India) হিসাবে শপথ নিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Sanjiv Khanna)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের ৫০-তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড়ের মেয়াদ শেষ (১০ নভেম্বর) হওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তাঁর অবসর গ্রহণের দিন ২০২৫-এর ১৩ মে (৬৫ বছর পূর্ণ হবে)। স্বাভাবিকভাবেই আগামী ছ’মাস দেশের বিচারব্যবস্থার শীর্ষপদে অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি (Supreme Court of India) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সাধারণত অবসর গ্রহণের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে শীর্ষ আদালতের প্রবীণতম বিচারপতির নাম সুপারিশ করেন। সেই প্রথা মেনেই সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে সম্প্রতি বিচারপতি খান্নার নাম সুপারিশ করেছিলেন। তার পরেই ‘রাষ্ট্রপতি ভবন’ থেকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসাবে বিচারপতি সঞ্জীব খাবার নাম ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
উল্লেখ্য যে, দিল্লির জেলা আদালতে আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বিচারপতি খান্না। পরে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের আইনজীবী হন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি আয়কর বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিযুক্ত হন। কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি না হয়েও প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং তারপর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হয়েছেন তিনি। বিচারপতি খান্নার আগে এমন নজির খুব কম সংখ্যক বিচারপতিরই আছে।
বিচারপতি খান্নার আরও একটি পরিচয় হল, তিনি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাইপো। তাঁর পিতা দিল্লি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবরাজ খান্না। বিচারপতি হংসরাজ যে এজলাস থেকে অবসর নিয়েছিলেন, সেই এজলাস থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচনী বন্ড, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের অংশ থেকেছেন বিচারপতি খান্না।