thebengalpost.net
সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরাসরি কর্মচারীদের মুখ্য আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম সহ অন্যান্যরা :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, ২১ মার্চ: গতকাল অর্থাৎ ২০ মার্চ (সোমবার) গ্রুপ-ডি মামলাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি সুপ্রিম কোর্টে। ‘চাকরি বাতিল হওয়া’ ১৯১১ জন গ্রুপ-ডি কর্মীদের চাকরি বাতিলের রায় (নির্দেশ) যেমন বহাল রাখা হয়েছে; ঠিক তেমনই নতুন নিয়োগেও স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে, সব পক্ষকেই তিনি হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের জন্যও কোন ‘মঙ্গল-বার্তা’ এলো না দেশের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) থেকে। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ও সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ আজ (মঙ্গলবার) DA মামলা শোনার মতো সময় দিতে পারেননি! পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আগামী ১১ এপ্রিল। ওই দিন মামলা লিস্টে থাকবে বলে জানা গেছে।

thebengalpost.net
সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরাসরি কর্মচারীদের মুখ্য আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, ফিরদৌস শামিম সহ অন্যান্যরা :

স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হয়ে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকরা। তবে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরাসরি এদিন বার্তা দিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, “হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। আজকে বিচারপতিরা অন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা শুনবেন বলে, এই মামলার দিন পিছিয়ে দিয়েছেন। এতে অন্য কোন বিষয় নেই! এদিন, সব পক্ষের আইনজীবীরাই আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাই, সরকারি কর্মচারীরা দয়া করে হতাশ হয়ে পড়বেন না। ১১ এপ্রিল মামলা তালিকাতে থাকবে। যদি, সব ঠিকঠাক থাকে তবে ওই দিন শুনানি হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে একাধিক শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে গড়িমশি করার অভিযোগ এনেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে, এদিন অবশ্য সব পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন স্বয়ং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাই, অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই মনে করছেন সরকারি কর্মচারীরা! তাঁরা তাঁদের অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এ উল্লেখ্য যে, কয়েক মাস আগেই এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী মন্তব্য করেছিলেন, “DA দিলে রাজ্য সরকারের বোঝা বাড়বে, সে কথা ঠিক। কিন্তু ভারসাম্যেরও দরকার রয়েছে। আর DA মোটামুটি আইনি অধিকারের পর্যায়েই চলে গিয়েছে।”