দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ মার্চ: এ এক মারাত্মক প্রবণতা তৈরি হয়েছে বর্তমান সমাজে। বাবা-মা’র সামান্য বকাঝকা বা শাসনের কারণেই আত্মঘাতী হচ্ছে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা! এও কি লকডাউন বা অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি’র কারণ? নাকি নিঃসঙ্গতা বা অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা ঘিরে ধরছে বর্তমান প্রজন্মকে? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন মনোবিদেরা। এর মধ্যেই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ফের একবার সেই একই ঘটনা ঘটলো। বাবার বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী হল ১২ বছরের এক নাবালিকা ছাত্রী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বেলদা থানার মান্না গ্রাম পঞ্চায়েতের সুজানগর গ্রামে। ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকাজুড়ে!

thebengalpost.net
ছোট্ট সুস্মিতা আত্মঘাতী হল :

জানা গেছে, সোমবার সকালে বাড়িতে পড়াশোনা না করার কারণে, বাবা বকুনি দেন মেয়েকে। এরপর, বাবা-মা কাজের সূত্রে বাইরে চলে গেলে, বাড়িতে একা থাকার সুযোগে বাড়ির পেছনের কুল গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই নাবালিকা ছাত্রী। বছর ১২’র ওই নাবালিকার নাম সুস্মিতা হেমব্রম। সুজানগর জুনিয়র হাই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। সুস্মিতার মামা দীপক নায়েক জানান, “পড়া না করার কারণে জামাইবাবু বকুনি দিয়েছিলেন ভাগ্নিকে। সোমবার দুপুরে দিদি জামাইবাবু কাজে চলে যাওয়ার পর, বাড়িতে একা থাকার সুযোগে বাড়ির পেছনে কুল গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় ভাগ্নি।” ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত নেমেছে বেলদা থানার পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ও শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে ওই এলাকায়।