দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের তথা পঞ্চায়েত সমিতির অধীন ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে শুধুমাত্র ৩নং শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েতেই চালু হয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প। তবে, সাতপাটি (৭নং), কর্ণগড় (১০নং) সহ অন্যান্য ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতেও এই প্রকল্প খুব শীঘ্রই শুরু করা হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন শালবনীর বিডিও রোমান মন্ডল। তিনি জানিয়েছেন, এজন্য প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেই কাজে লাগানো হবে। এই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে যে পরিমাণ আয় হবে, সেই আয়ের কিছুটা অংশ প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বিডিও। এই প্রকল্প চালু করার জন্য গত নভেম্বর মাসে গড়বেতা ৩নং ব্লকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ২০১৪ সালেই সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প শুরু করা হয় বলে জানান শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতি নেপাল সিংহ। বছর তিনেক চালানোর পর, তা বন্ধও হয়ে যায়। ২০১৮ সালে নতুন করে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠিত হওয়ার পর, ওই প্রকল্প শালবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে হস্তান্তর করা হয় শালবনী পঞ্চায়েত সমিতিকে। ২০১৯ সাল থেকে চলছে সেই প্রকল্প। প্রকল্পের অধীনে শালবনী অঞ্চলের (গ্রাম পঞ্চায়েতের) গোটকলাতে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মধ্য দিয়ে ব্যবহারযোগ্য ও অব্যহারযোগ্য বর্জ্য আলাদা করা হয়। তৈরি হয় জৈব সার। খুব শীঘ্রই সেখানে প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি এও জানিয়েছেন, শালবনী টাঁকশাল বা শালবনী BRBNMPL থেকে বর্জ্য বা আবর্জনা (বা, ওয়েস্টেজ জিনিসপত্র) তোলার জন্য প্রতি মাসে কর্তৃপক্ষের তরফে পঞ্চায়েত সমিতিকে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও, শালবনীর ডালমিয়া সিমেন্ট লিমিটেডের তরফে দেওয়া হয় মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, “এজন্য পঞ্চায়েত সমিতির নির্দিষ্ট তহবিল করা হয়েছে। সেই তহবিল থেকে কর্মীদের বেতন দেওয়া সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজকর্ম করা হয়।” গোটকলাতে অবস্থিত প্রকল্পে ৮ জন কর্মী কাজ করেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বিডিও রোমান মণ্ডলের সাথে সাথে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই সাতপাটি, কর্ণগড় সহ অন্যান্য অঞ্চলগুলিতেও (বা, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও) এই প্রকল্প শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।