দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ আগস্ট: ভারতমাতার বীর সন্তান, মেদিনীপুরের অগ্নি-কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু’র ১১৪ তম ‘আত্মবলিদান দিবস’ উপলক্ষে তাঁর ‘জন্মভিটে’ (মতান্তরে, মেদিনীপুর শহরের হবিবপুর) হিসেবে পরিচিত কেশপুর ব্লকের মোহবনী’তে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, মোহবনী ডেভলপমেন্ট অথরিটির পক্ষ থেকে। ঐতিহাসিক এই দিনে, ঐতিহ্যমণ্ডিত সেই মোহবনীর মাটিতে দাঁড়িয়েই উল্টো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিতর্কের মুখে স্বয়ং মোহবনী ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল এবং কেশপুরের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা। যদিও ভুল শুধরে নেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গেই! ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও, দু’জনই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের উপর! দ্বিতীয়বার অবশ্য সঠিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়‌। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহবনীতে কিশোর বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু’র জন্মভিটে (মতান্তরে, বাসস্থানে)’র আকাশজুড়ে পতপত করে উড়লো ভারতের ‘তেরঙ্গা’ পতাকা।

thebengalpost.in
উল্টো পতাকা উত্তোলন :

thebengalpost.in
ভুল শুধরে নেওয়া হল সাথে সাথেই :

উল্লেখ্য যে, বুধবার (১১ আগস্ট) শহীদ ক্ষুদিরামের ১১৪ তম আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষে ক্ষুদিরামের জন্মভিটে হিসেবে পরিচিত মোহবনী গ্রামে আয়োজন করা হয় শহীদ স্মরণের। মোহবনী ডেভলপমেন্ট অথরিটির সভাপতি তথা জেলাশাসক ড. রশ্মি কমলের আহ্বানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শিউলি সাহা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সেই অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঘটে বিপত্তি! উল্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়, জেলাশাসক ও রাজ্যের মন্ত্রীকে। যদিও পতাকা উত্তোলন হয়ে গেলেও, দড়ি বাঁধার আগেই নজরে আসে বিষয়টি। সাথে সাথেই নামানো হয় পতাকা। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম বিতর্কে জেলাশাসক ও রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী তথা কেশপুরের বিধায়িকা। যদিও ঘটনা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তাঁদের। তবে, এই বিতর্কের রেশ এখন কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার!

thebengalpost.in
জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল এবং মন্ত্রী শিউলি সাহা পতাকা উত্তোলন করলেন :