তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২০ মে: খাবারের দোকানে অভিযানে গিয়ে রীতিমতো রণংদেহী মহিলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক (Food Safety Officer)! ধমক দিয়ে দোকানের নষ্ট হয়ে যাওয়া বা বাসি খাবার-দাবার টেনে বের করে, ডাস্টবিনে ফেলতে খাদ্য করলেন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। প্রসঙ্গত, ঝাঁ-চকচকে দোকানের আড়ালে খাদ্য রসিক মানুষদের খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি পচা খাবার। একাধিক বার সতর্ক করেও কাজ না হওয়ায়, পশ্চিম মেদিনীপুরে আসরে নামলো খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা দিলেন আধিকারিক সহ কর্মীরা। হাতেনাতে ধরা পড়লো পচা বা নষ্ট হয়ে যাওয়া, বাসি খাবার-দাবারের নমুনা!
মহিলা আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার কার্যত নিজে হাতে দোকানের ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কিংবা লুকিয়ে রাখা খাবার দাবার টেনে বের করলেন। খাবারের গুণগত মান যাচাই করে একাধিক দোকানদারকে ধরালেন নোটিশ। কড়া আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিলেন মহিলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক। শুক্রবার দিনভর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভা এলাকায় তাঁর নেতৃত্বে চললো কড়া অভিযান। দিনভর চন্দ্রকোনা শহরের একাধিক রেস্টুরেন্ট, হোটেল, মিষ্টির দোকানে অভিযান চালান চন্দ্রকোনার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার। দপ্তরের কর্মীদের নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের খাবারের দোকানে অতর্কিতে অভিযান চালান তিনি। তাতেই চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকের! রেস্টুরেন্ট মিলেছে বাসি খাবার থেকে ফ্রিজে রাখা পচা মাংস। মিষ্টি দোকানে পাওয়া গেছে পচা বা নষ্ট হয়ে যাওয়া মিষ্টি, ছানা! সেসব কর্মীদের দিয়ে ডাস্টবিন এবং পৌরসভার ভ্যাটে ফেলেন তিনি। খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক দেবারতি জোদ্দার জানান, “সমস্ত দোকানদারকে ডেকে ট্রেনিং সমেত একাধিক নিয়মাবলী সম্পর্কে আগে সচেতন করা হলেও, অনেকেই খাদ্য সুরক্ষার বিষয়ে নজর দিচ্ছিলেন না। অভিযান চালিয়ে বাসি খাবার থেকে পচা মাংস মিলেছে। তা নষ্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি অনেক দোকানদার এখনও বিনা লাইসেন্সে দোকান চালাচ্ছেন, তাদের নোটিশ ধরানো হয়েছে।” পরবর্তী সময়ে এদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।