দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ ডিসেম্বর: ঘাটালের সাংসদ তথা জনপ্রিয় অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী’র জেঠু তারাপদ অধিকারী শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রয়াত হয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের মহিষদা গ্রামে সেই জেঠুর শেষকৃত্যে বাবাকে নিয়ে হাজির হলেন দীপক অধিকারী তথা দেব। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে শনিবার বিকেলে। আগাগোড়া উপস্থিত থেকে সমস্ত প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেন তিনি। এমনকি, শবদেহ কাঁধে করেও নিয়ে গেলেন দীর্ঘপথ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবের মুম্বাই যোগাযোগ ও উত্থানের পেছনে জেঠু তারাপদ অধিকারী (৭১)’র অবদান ছিল সর্বাধিক।

thebengalpost.net
জেঠুর শেষকৃত্যে:

প্রসঙ্গত, কেশপুরের মহিষদা গ্রামের বাসিন্দা অধিকারী পরিবার একসময় দরিদ্র ছিল। রোজগারের টানে মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন তারাপদ অধিকারী। তারাপদ অধিকারী মুম্বাইয়ে শুটিং ফ্লোরের একটি স্থানে এক ক্যান্টিন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কাজ করতেন। পরে নিজেও ক্যান্টিন খুলেছিলেন সেখানে। এরপর নিজের ভাই গুরুপদ অধিকারীকে রোজগারের জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে শুটিং তথা এডিটিং, ডাবিং সহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত ছিলেন সাংসদদের বাবা গুরুপদ অধিকারী। গুরুপদ অধিকারী পশ্চিম মেদিনীপুরে ফিরে চন্দ্রকোনা রোড এলাকায় বিয়ে করলেও দেবের জন্মের দু’বছর পরই তাঁকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে। সেখান থেকেই ফিল্ম জগতের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় দেবের। স্থানীয়রা জানান, দেবের সেই জেঠু তারাপদ অধিকারীই দেবের অভিনয় জগতের মূল ভিত্তি স্থাপন করে দিয়েছিলেন। জেঠু পরে গ্রামে ফিরেছিলেন। তবে, ততদিনে দেব ও তাঁর বাবা গুরুপদ অধিকারীর মুম্বাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় হয়ে গিয়েছিল। সেই জেঠু গ্রামে থাকা অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কেশপুর হাসপাতালে প্রয়াত হন। তারাপদ বাবু’র এক ছেলে আমেরিকায় থাকেন, আরেক ছেলে ও মেয়ে হাজির ছিলেন কেশপুরেই। অন্যদিকে, জেঠুর শেষকৃত্যে দেব উপস্থিত হবেন বলে ইচ্ছে প্রকাশ করলে, দেহ রাখা হয়েছিল শনিবার পর্যন্ত। শনিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ কেশপুরের মহিষদা গ্রামে হাজির হয়েছিলেন দেব তথা দীপক অধিকারী। তাঁর আসার খবর পেয়ে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছিলেন তার গ্রাম সংলগ্ন এলাকায়। দেব-এর উপস্থিতিতেই শনিবার বিকেলে শেষকৃত্য পর্ব সম্পন্ন হয়।