thebengalpost.net
মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচকের এই ছবিতেই 'পানের পিক' ফেলা নিয়ে বিতর্ক :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ নভেম্বর: জেলা শহর মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মেদিনীপুর লোকসভার সাংসদ দিলীপ ঘোষের একটি ছবিতে কেউ বা কারা রাতের অন্ধকারে পান বা জর্দার পিক ফেলেছে! শুক্রবার দিনভর এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি’র অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন মদতেই দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ নিয়ে ‘তৃণমূল কংগ্রেস’কে সরাসরি আক্রমণ না করে, শুভেন্দু বললেন, “এটা কোনো সচেতন নাগরিক বা রাজনৈতিক কর্মীর কাজ নয়”। তাঁর মতে, “এই কাজ জেহাদিরা করেছে। যশস্বী প্রধানমন্ত্রী আর লোকপ্রিয় সাংসদের ছবিতে যারা পিক ফেলেছে, তারা দেশদ্রোহী”!

thebengalpost.net
মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচকের এই ছবিতেই ‘পানের পিক’ ফেলা নিয়ে বিতর্ক :

প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচকের মোড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি নাড্ডা এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের একটি বড় ব্যানার কাঠের কাঠামোর উপর বসানো ছিল গত কয়েকদিন ধরে। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর শহরে দিলীপ ঘোষ এসেছিলেন, তাঁকে স্বাগত জানিয়েই এই ব্যানার দেওয়া হয়েছিল! এদিকে, শুক্রবার সেই ছবিতেই দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সাংসদ দিলীপ ঘোষের ‘মুখের উপর’ (ছবিতে) কেউ বা কারা পান বা জর্দার পিক ফেলেছে। অন্য একটি ব্যানারে আড়াল হয়ে যাওয়ায় নাড্ডার ছবিতে সেই পিক পড়েনি! আর, শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনার প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস মন্তব্য করেন, “ঐতিহ্যমণ্ডিত মেদিনীপুর শহরে এই কাজ ভাবা যায়না! এই কাজ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন মদতে দুষ্কৃতী-সন্ত্রাসবাদীরা করেছে!” আর, শুক্রবার সন্ধ্যায় জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘তৃণমূল কংগ্রেস’ কে এই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী না‌ করে বললেন, “মেদিনীপুর শহরে সিসিটিভি থাকলে, কে এই কাজ করেছে, তার সত্যতা বেরিয়ে আসবে। তবে, আমার ধারণা যেদিন ক্রিকেটে ভারত হেরে গিয়েছিল পাকিস্তানের কাছে, কিছু লোক বোম ফাটিয়েছিল! পাকিস্তান জিতে যাওয়ার কারণে যারা বোম ফাটিয়ে ছিল, এই কাজ সেই জেহাদিদের। জেহাদি-দেশদ্রোহীরা তো কোনায় কোনায় আছে এ দেশের। তারা ভারতের খায়, ভারতে ঘুমায়, ভারতের কাছে সবকিছু নেয়, আবার ভারতের বিরোধিতা করে। যশস্বী প্রধানমন্ত্রী আর লোকপ্রিয় সাংসদের ছবিতে যারা পিক বা থুতু ফেলেছে, এই কাজ সেই জেহাদিদের! যেভাবে বাংলাদেশে জেহাদিরা অশান্তি সৃষ্টি করেছে, এখানেও হয়তো সেভাবেই তারা অশান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছে। বাংলাদেশের মতো এখানেও উচিত পুলিশের আসল দোষীকে খুঁজে বের করা”। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছেন, “এটুকু বলতে পারি, এই ধরনের কাজ তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করেনা! এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করি। এই সংস্কৃতি মেদিনীপুরের নয়, তৃণমূল কংগ্রেসেরও নয়। সর্ষের মধ্যেও অনেক সময় ভূত লুকিয়ে থাকে!”