দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১১ ডিসেম্বর: ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সিপিআইএমের। মঙ্গলবার এরিয়া কমিটির সম্মেলনও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ কমরেডরা বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। আর তারপরই গভীর রাতে একটি কালো স্করপিও-তে চেপে আসে দুষ্কৃতীরা! সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সিপিআইএমের পতাকা খুলে সম্মেলনের মঞ্চে আর দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ! সিপিআইএমের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো এবং পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিআইএমের গোষ্ঠী-কোন্দল তথা সিপিআইএম থেকে বিজেপি-তে চলে যাওয়া কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে তৃণমূল! ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়িতে।
জানা যায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ির দুধেবুধে বুথ এলাকায় হাতিগেড়িয়া এরিয়া কমিটির তৃতীয় সম্মেলন ছিল মঙ্গলবার। সম্মেলন শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা নাগাদ সিপিআইএম কর্মীরা বাড়ি চলে যান। অভিযোগ, গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সম্মেলনের মঞ্চ, পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় এবং পতাকা পুড়িয়ে দেয়। দুষ্কৃতীরা একটি কালো স্করপিও এবং কয়েকটি বাইকে করে এসেছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানিয়েছেন। বুধবার সকালে সিপিআইএমের দলীয় কর্মীদের নজরে বিষয়টি এলে সকাল থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার পর ইতিমধ্যে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্যা তথা জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মামণি মাণ্ডি বলেন, “সিপিআইএমের কোন অস্তিত্বই নেই ওই এলাকায়! পঞ্চায়েতে ওই বুথ জিতলেও, লোকসভাতে আমরাই ১১১ ভোটে লিড করেছি। তাই আমরাই ওই বুথের দেখভাল করি। সুতরাং আমরা কেন ওই এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করতে যাব? আর, আমাদের নেত্রী আমাদের এই শিক্ষা দেয় নি। এটা আসলে সিপিআইএমের গোষ্ঠী কোন্দল বা সম্মেলনের পর নিজেদের মধ্যে রেষারেষির ঘটনা!” অপরদিকে, জেলা সিপিআইএমের দাবি, তৃণমূল আর বিজেপির উপর মানুষ তিতিবিরক্ত হয়ে সিপিআইএমের দিকে ঝুঁকছেন। এরিয়া কমিটির সম্মেলনও সফল হয়েছে। আর সেজন্যই এই হামলা! যদিও, বুধবার সকালেই নিজেদের দলীয় কার্যালয় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জেলা সিপিআইএমের তরফে জানানো হয়েছে।