শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ নভেম্বর:’পথশ্রী’, ‘রাস্তাশ্রী’-র মতো প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে রাস্তার ‘বিশ্রী’ অবস্থা। কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হয়! শনিবার তাই সাত সকালেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৫/২ অঞ্চলের কিশমত ডেবরা এলাকার। গ্রামবাসীদের দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে রাস্তার পরিস্থিতি নিয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনো সমাধান মেলেনি! অগ্যতা গ্রীষ্ম হোক বা বর্ষা, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পথ চলতে হয়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, এমনকি জেলাশাসকের (ডিএম) কার্যালয় থেকে “দিদিকে বলো”-তে অভিযোগ জানানোর পরও সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। খানাখন্দে ভরা রাস্তার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় বা সামান্য বৃষ্টি হলেই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেতু মেরামত এবং রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু না হলে তাঁরা প্রধানের বাড়ি ঘেরাও করেই রাখবেন। সেই সঙ্গে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেও হাঁটবেন তারা। বিক্ষোভের ফলে শনিবার সকালে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
এ নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তনুশ্রী দোলই রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ব্লক, জেলা এবং রাজ্যস্তরে চিঠি দিয়ে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। তবে, রাস্তাটির দূরত্ব বেশি হওয়ায় এটি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (15th Finance Commission) বরাদ্দ অর্থে নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, এই রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব জেলা পরিষদ বা পঞ্চায়েত সমিতির হাতে। তাই, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে পুনরায় আবেদন জানানো হয়েছে। এরপরই গ্রামবাসীরা আপাতত বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।