দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, কলকাতা, ৮ মার্চ: তৃণমূলে যোগ দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিয়েছেন ফিরহাদ ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস। এদিকে, তৃণমূলে যোগ দিয়েই রাজ্য সহ সভাপতি’র পদ পেলেন বিজেপি’র প্রাক্তন রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ। বঙ্গ বিজেপির আরও অনেক বিক্ষুব্ধ নেতা-নেত্রীরাই তৃণমূলের ‘দরজার সামনে’ লাইন দিয়ে আছেন বলে রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে। সেই তালিকায় লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বড় নাম আছে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও, বিক্ষুব্ধ নেতা সায়ন্তন বসু, রীতেশ তেওয়ারি-রাও তৃণমূলে যোগদান করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।

thebengalpost.net
জয়প্রকাশ মজুমদার:

এদিকে, দলে আরও গুরুত্ব বাড়লো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ববি হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস-দের সঙ্গে জায়গা পেলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, রাজ্য মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব‌ বাড়লো ববি হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকলেই মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটানো হয়। পরিবর্তিত মন্ত্রিসভায় পুর ও নগরোন্নায়ন দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ। কলকাতার মেয়র হওয়ার আগে ১০ বছর এই দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। পরে এই দায়িত্ব চলে যায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya) হাতে। এবার নতুন করে তা ফিরে পেলেন ফিরহাদ (Firhad Hakim)। এর সঙ্গে আগের মতোই আবাসন ও পরিবহণ দপ্তরের কাজও সামলাবেন তিনিই। এদিকে, অর্থ দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্র মন্ত্রী হয়ে গেলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তিনি এই দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত থেকেই কার্যত স্পষ্ট যে যাঁরা দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন, তাঁদেরই গুরুত্ব বাড়ানো হল।

thebengalpost.net
Recruitment Advertisement :