দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ আগস্ট: ফের একবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ‘ভুয়ো NVF’ চক্রের হদিস মিললো। অবসর নেওয়ার আগে বা কর্মরত অবস্থায় (বা, চাকরি জীবনের মধ্যে) মৃত কোনো NVF কর্মীর ‘সন্তান’ পরিচয়ে বছরের পর বছর ধরে ডাই-ইন-হারনেস (Die in Harness) গ্রাউন্ডে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় চাকরি করার পর, অবশেষে পুলিশের জালে দুই মহিলা সহ ৬ প্রতারক! ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৮ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে শনিবার মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। বড়সড় এই ‘প্রতারণা চক্রে’র কিংপিন বা মাস্টার-মাইন্ডের খোঁজ পেতে ধৃত ৪ জনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। দুই মহিলার অবশ্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মেদিনীপুর আদালতের বিচারক।
জানা গিয়েছে, এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের কাছে। তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার নোটিশ জারি করে অভিযুক্তদের কোতোয়ালি থানায় ডেকে পাঠায়। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের বক্তব্যে অসঙ্গতি পাওয়া গেলে এবং সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারায়; দুই মহিলা সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার দুপুরে ধৃতদের তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। ধৃতদের সাথে বড় কোন চক্রের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশ আধিকারিকদের। তদন্তে নেমে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।
জানা গিয়েছে, ধৃতরা বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিল। এই বিষয়ে শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর আদালতে দাঁড়িয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার সরকারি আইনজীবী পৌলমী বেরা বলেন, এনভিএফের কমান্ডেন্ট অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় প্রায় ৬-৭ বছর ধরে কর্মরত ছিল। আদালতে তোলা হলে বিচারক ৪ জনের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং দুই মহিলার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পেছন বড় চক্র বা র্যাকেট থাকতে পারে। সেই র্যাকেটের কিংপিন বা মূলচক্রীকে ধরার জন্যই ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। পুলিশ সেটাই তদন্ত করে দেখবে।