তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৪ জানুয়ারি: গুজরাটে সোনা চুরি করে কান্ডে ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের (দীপক অধিকারী) প্রতিনিধি রামপদ মান্নার বাড়িতে মঙ্গলবার হানা দিল গুজরাট পুলিশ। আর এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সহ সারা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে শোরগোল। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ‘কোন্দল’ প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যায়, বেশ কয়েক মাস আগে গুজরাট থেকে প্রায় দু’কেজি সোনা চুরি করে পালিয়ে আসে ঘাটালের এক ব্যক্তি। দোকান মালিক বানেশ্বর জানা (আদতে ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দা, ব্যবসা সূত্রে গুজরাটে থাকেন)’র অভিযোগের ভিত্তিতে, গুজরাটেল পুলিশকর্মীরা এসে ঘাটালের আড়গোড়া এলাকা থেকে তাপস মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যান। অন্যদিকে, তাপস মন্ডলের বয়ান অনুযায়ী, তিনি ৫০ লক্ষ টাকা এবং ৯৭০ গ্রাম সোনা দিয়েছিলেন রামপদ মান্নাকে। এই তাপস মন্ডল আবার রাম মান্নার আত্মীয় বলে জানা গেছে!
তাপস বাবুর স্বীকারোক্তি পেয়ে, গুজরাট পুলিশ সাংসদ দেবের প্রতিনিধি রাম মান্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে মঙ্গলবার ঘাটালে আসেন। ঘাটাল থানার পুলিশের সাহায্য নিয়ে, গুজরাট পুলিশ পৌঁছে যায় ঘাটাল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুশপাতা এলাকায় রাম মান্নার বাড়িতে। বাড়িতে ছিলেন না রাম মান্না। রাম বাবুর স্ত্রী রুপা মান্নার সাথে দীর্ঘক্ষণের কথাবার্তা হয় পুলিশকর্মীদের। রাম মান্নার স্ত্রী অর্থাৎ তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা মান্না জানান, “রামবাবু দলীয় কাজে বাইরে আছেন”। রুপা দেবীর সাথে কথা বলে গুজরাট পুলিশের দলটি আবার ফিরে আসে ঘাটাল থানায়। এই ঘটনায় ঘাটাল জুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি! প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে শঙ্কর দোলই ঘাটালে তৃণমূলের টিকিট পেলেও, নির্বাচনে হেরে যান। শঙ্করের অভিযোগ ছিল, দলের একটি অংশ তাঁকে হারিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই শংকর হেরে যাওয়ার পরে, একদা শঙ্করের ঘনিষ্ঠ সকলেই সাংসদ প্রতিনিধি রাম মান্নার গোষ্ঠীতে ভিড় করেছে। সাংসদ প্রতিনিধির দাপটে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলই এখন কোণঠাসা। এই সুযোগে প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। আইনে প্রাথমিকভাবে রাম মান্না দোষী প্রমাণিত হয়ে গেছে। দলের যত বড় নেতাই হোক দোষী হলে তার সাজা হওয়া দরকার”। এই বিষয়ে রাম মান্না বলেন, “তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দোলই তাঁকে কালিমালিপ্ত করার জন্য সংবাদসংস্থার কাছে তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ করছে। আমি প্রয়োজনে পুলিশের তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব বলে জানিয়েছি। গুজরাট থানাতেও যেতে রাজি। যিনি চুরির কেসে ধরা পড়েছেন তিনি আমার দূরসম্পর্কের আত্মীয় ঠিকই, কিন্তু তিনি চোর, তাই চোরের কথাকে আমি গুরুত্ব দিতে চাইনা।” বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। ঘাটালের বিজেপি নেতা রামকুমার দে বলেন, “তৃণমূল প্রথম থেকেই সোনা চুরির কাণ্ডে জড়িত।”
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: সাপ ধরে বাড়িতেই পরিচর্যা করতেন। এলাকাবাসীদের কথায়,…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ নভেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: সংগ্রাম, আন্দোলন কিংবা প্রতিবাদ। বরাবরই পথ দেখিয়ে…
শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: বাড়ির ভিত তৈরির জন্য চলছিল খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। খোঁজ মিলল…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ নভেম্বর: ৫ এম.এল, ১০ এম.এল-র সিরিঞ্জ থেকে অ্যাড্রিনালিনের…
দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ নভেম্বর: এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ…