দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২১ মে: মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রে। দিনের শেষে প্রায় ৭৭ শতাংশ (৭৬.৯) ভোট পড়েছে বলেও জানা গেছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। যদিও, সোমবার (২০ মে) সকাল ১১টা থেকে এই আরামবাগ লোকসভার অধীন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা বিধানসভার পিয়ারডাঙা ১১৯ ও ১২০ নম্বর বুথ ছিল খবরের শিরোনামে। কখনও ভোট-ফেরত জনতাকে (ভোটারদের) মুড়ি খাইয়ে আবার কখনও CRPF-র লাঠির বাড়ি খেয়ে এই এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেন দিনভর! আবার, ভোটের শেষ লগ্নে ওই এলাকাতে গিয়েই সবুজ আবির খেললেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালি বাগ! ভোট ‘ঠিকঠাক’ করানো কর্মী-সমর্থকদের কপালে সবুজ আবিরের টিকা পরিয়ে দেন তিনি।

thebengalpost.net
গন্ডগোল করতে এসে থাপ্পড় খেলেন এক কর্মী:

প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেরই আধিপত্য। সিপিআইএম-বিজেপি থাকলেও, জোড়াফুলের দাপটের কাছে ফিকে! এই এলাকায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ থাকায় প্রচুর পরিমাণে CRPF-র পুরুষ ও মহিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত আরামবাগ লোকসভার অধীন একমাত্র এই পিয়ারডাঙা এলাকাই খবরের শিরোনামে চলে এলো! CRPF-র তরফে লাঠি চার্জও করা হলো। বিতর্কিত প্রথম ঘটনাটি ঘটে, ১২০ নম্বর বুথ সংলগ্ন এলাকায়। বুথ থেকে কিছুটা দূরেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উদ্যোগে ভোটারদের জন্য চপ-মুড়ির ব্যবস্থা করা হয়। ভোট দিয়ে যাওয়ার পথে ভোটাররা মুড়ি-চপের প্যাকেট নিয়ে ফিরছিলেন! শাসকদলের স্থানীয় এক নেতা শেখ বাদল ইশাক ‘গর্বের সাথে’ বলেন, শুধু তৃণমূল নয়, সব দলের ভোটারদের জন্যই মুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল! এই ইশাকের বিরুদ্ধেই ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও উঠেছে।

thebengalpost.net
thebengalpost.net

অন্যদিকে, সকাল ১১টা নাগাদ পিয়ারডাঙ্গা ১১৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, সিআরপিএফ-কে লাঠিচার্জ করতে হয়। শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভোটারদের বিজেপি-তে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তাঁরা এর প্রতিবাদ করেন বলেই সিআরপিএফ লাঠিচার্জ করে। অন্যদিকে, বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছিল এবং বুথ জ্যাম ও রিগিং করার চেষ্টা চলছিল। সিআরপিএফ বাহিনী তা রুখে দিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলা হলে, তাঁরা জানান, এক যুবক দু’বার ভোট দিতে এসেছিল। তার তথ্য যাচাই করতেই ধরা পড়ে যায়! এরপরই, উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সিআরপিএফ বাহিনীকে অল্প লাঠিচার্জ করতে হয়। তবে, দুপুরের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হয়। বিকেলে ওই বুথে গিয়েই আবির খেলেন তৃণমূল প্রার্থী।

thebengalpost.net
উত্তেজনা এলাকায়: