শশাঙ্ক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ জুন: পাড়ার কচিকাঁচাদের টিউশন পড়াতেন বউমা। ওই টিউশনেই পড়তে আসতো তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, ৯ বছরের এক নাবালিকাও। সপ্তাহ দুয়েক আগে বউমা আত্মীয় বাড়িতে যায়। ওইদিন সকালে ওই নাবালিকা সহ তার সহপাঠীরা টিউশন পড়তে আসে। ‘গুনধর’ শ্বশুর সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে ওই ৯ বছরের নাবালিকাকে বাড়িতে থাকতে বলে। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে, বাড়ির ভেতর নিয়ে গিয়ে ৯ বছরের নাবালিকাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন থেকে শুরু করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ! ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার অধীন একটি গ্রামে।
এদিকে, বৃদ্ধের দ্বারা নির্যাতিত ও ধর্ষিত হয়ে নাবালিকা নিজের বাড়িতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি জানায় তার মা-কে। শনিবার সকালে ওই ‘পাষণ্ড’ ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে সবং থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্যতা খুঁজে পেয়ে পুলিশ শনিবার বিকেলেই গোপাল দাস নামে ‘গুনধর’ বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার মেদিনীপুর আদালতের স্পেশাল কোর্ট বন্ধ থাকায়, সোমবার ফের বৃদ্ধকে ফের তোলা হবে আদালতে। পুলিশ ইতিমধ্যে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই ছি ছি করছেন সবং তথা জেলাবাসী!