দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি: “প্রথমত, আমি সন্দেশখালি জীবনে দেখিনি, যাওয়া তো দূরের কথা! দ্বিতীয়ত, আমি কোনও অঞ্চল সভাপতি নই। আমি অখন্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি ছিলাম। তৃতীয়ত আমি একজন বিধায়ক…দয়া করে আমাকে সন্দেশখালির অজিত মাইতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না! এই ভ্রম বা প্রমাদ সংশোধন করুন!” সোমবার দুপুরে কলকাতার নামকরা এক বেসরকারি হাসপাতালে (মেডিকা)-র বেডে শুয়ে ঠিক এভাবেই সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে কাতর আর্জি জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি। প্রসঙ্গত, সদ্য ‘গ্রেফতার’ হওয়া সন্দেশখালির তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি (যদিও, গতকালই পদ থেকে সরানো হয়েছে) অজিত মাইতি-র সঙ্গে বেশ কিছু মিডিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতিকে গুলিয়ে ফেলেন গতকাল অর্থাৎ রবিবার।
রবিবার সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি-কে গ্রামের মহিলাদের তাড়া করার খবরে বেশ কিছু মিডিয়া ছবি বসিয়ে দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অজিত মাইতির! এদিকে, গত ৮ দিন ধরে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে (মেডিকা-তে) চিকিৎসাধীন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তাঁর হার্টের অপারেশন বা অস্ত্রপচারও হয়েছে। এই মুহূর্তে অনেকটাই স্থিতিশীল আছেন তিনি। তবে, হাসপাতালে তাঁর ‘বিড়ম্বনা’ বাড়িয়েছে সন্দেশখালির অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি তথা তাকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ নানা খবর! ফলে শেক্সপিয়র (William Shakespeare) যতই বলুন না কেন ‘নামে কি এসে যায়’, নাম-বিড়ম্বনা যে কি জিনিস; তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের নেতা ও বিধায়ক অজিত মাইতি।
রবিবার থেকে অনুগামী ও পরিচিতদের একের পর এক ফোন আসছে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতির কাছে। অজিত-কে বেডে শুয়েই বলতে হচ্ছে, “আরে আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি, আমাকে কেউ তাড়া করেনি!” এর মধ্যেই বেশ কিছু মিডিয়া আবার সন্দেশখালির অজিত মাইতির ছবি ভেবে পশ্চিম মেদিনীপুরের অজিত মাইতির ‘ছবি’ বসিয়ে দেন ‘সন্দেশখালির অজিত মাইতিকে তাড়া করার’ খবরে! শেষ পর্যন্ত অবশ্য সন্দেশখালির অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছেন। আছেন পুলিশি হেফাজতে। আর পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি আছেন বেসরকারি হাসপাতালে। তা সত্ত্বেও আর ঝুঁকি নিতে চাননি বিধায়ক অজিত! এক ভিডিও-বার্তায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে কাতর আর্জি জানিয়েছেন ভ্রম সংশোধনের। অজিতের কথায়, “পশ্চিম মেদিনীপুরের যাঁরা আমাকে ভালোবাসেন; তাঁরা এতে বিভ্রান্ত হচ্ছেন! দয়া করে এই ভ্রম সংশোধন করুন। এতে সামজিকভাবে সবারই মর্যাদা বাড়বে!”