দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ সেপ্টেম্বর অবশেষে, পাঁচ দিনের মাথায়, প্রায় ১০০ ঘন্টা পর রেল অবরোধ প্রত্যাহার করে নিলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজ নেতৃত্ব। শনিবার সকালে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব এবং সিআরআইয়ের (CRI) ডাইরেক্টরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স এর পর রেল অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে পুরুলিয়া থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো। প্রসঙ্গত, কুড়মি জাতিকে তফসিলি উপজাতি বা ST সম্প্রদায়ভুক্ত করা এবং কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার কিছু অংশে রেল টেকা বা রেল অবরোধ এবং ডহর ছেঁকা বা পথ অবরোধ শুরু হয়। ফলে, এইসব এলাকায় যাত্রী পরিবহন একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে যায়! স্বাভাবিকভাবেই, ৫ দিনে দক্ষিণ পূর্ব রেলের প্রায় ২৫০ ট্রেন বাতিলের পর অবশেষে আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তে খুশি সব মহলই।

thebengalpost.net
অজিত প্রসাদ মাহাতো’র সাংবাদিক বৈঠক :

শনিবার পুরুলিয়াতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠক থেকে অজিত প্রসাদ মাহাতো জানিয়েছেন, “রাজ্যের সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব জানিয়েছেন, কিভাবে তাঁর কাজ করেছেন এবং করছেন। এর আগেও ২০১৮ সালে সিআরআই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, আমাদের তা দেখানো হয়নি। একটা গ্যাপিং বা ব্যবধান তৈরি হয়েছিল। তা আর হবেনা বলে উনি জানিয়েছেন। সংশোধিত সিআরআই আমাদের দেখানো হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। এরপর, কেন্দ্রীয় সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে, আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব। আপাতত, পুজোর আগে, জনগণের মুখ চেয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। মানুষের খুব অসুবিধা হচ্ছিল। এমন নয় যে, আমরা ভবিষ্যতে আর আন্দোলন করবো না। আমরা আমাদের ক্ষমতা-টা দেখাতে পেরেছি! আশা করব, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার আমাদের দাবি অনুযায়ী দ্রুত কাজ করবেন।” সূত্রের খবর, কিছু ক্ষণ পরেই প্রতিনিধি দল পৌঁছবে পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে। এমনটাই জানা গিয়েছে আন্দোলনকারীদের সূত্রে। ওই প্রতিনিধি দলে জেলা প্রশাসন এবং রেলের এক জন করে প্রতিনিধি রাখার দাবি তুলেছেন কুড়মি সমাজের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো। যাতে অবরোধকারীদের নামে কোনও মামলা না হয় সে দিকটি বিবেচনা করে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন অজিত। যদিও, খড়্গপুরের খেমাশুলির আন্দোলনকারীরা এখনও অবরোধ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত জানাননি! অবরোধ এখনও ওঠেওনি সেখানে।