দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ জুলাই: পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সদর হাসপাতাল তথা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে সুবিশাল এক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে উঠতে চলেছে মেদিনীপুর শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে, সদর ব্লকের মুড়াডাঙ্গা (গোপগড় সংলগ্ন) এলাকাতে। প্রায় ১৫ একর জমিতে এই হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের আবাসন গড়ে উঠবে বলে জানা গেছে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে। জেলা প্রশাসনের তরফে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুড়াডাঙ্গা (প্লট নং – ৫৮, মৌজা – মুরাডাঙ্গা, জেএল নং – ১৫৩, জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের পিছনের দিকে) এলাকার প্রায় ১৫ একর (১৪.৪৯ একর) জমি আগেই অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। সেই জমির সমস্ত কাগজপত্র (বা দলিলপত্র) বুধবার মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সহকারী সচিব ডঃ সৌমিত্র মোহন, ডঃ অজয় চক্রবর্তী এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক তুষার সিংলা (ভূমি ও ভূমি সংস্কার)’র উপস্থিতিতে জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল বুধবার দুপুরে ওই জমির কাগজপত্র তুলে দিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু’র হাতে। জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল জানিয়েছেন, “মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় (সুপার স্পেশালিটি) ক্যাম্পাসের নির্মাণ ও সম্প্রসারণের জন্য ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। সেই জমির সমস্ত কাগজপত্র তুলে দেওয়া হলো মেদিনীপুর মেডিক্যালে কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে।”

thebengalpost.in
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ১৫ একর জমির কাগজপত্র তুলে দেওয়া হলো :

প্রসঙ্গত, বছরখানেক আগেই জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমলের উদ্যোগে এই ১৫ একর জমি মেডিক্যাল কলেজের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। মৌখিক ভাবে সবকিছু জানিয়েও দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি, ওই জমির সীমানা প্রাচীর দেওয়ার বিষয়েও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বুধবার সেই জমির কাগজপত্রও তুলে দেওয়া হলো কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হলে, সেখার সুপার স্পেশালিটির নানা বিভাগ এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন তৈরি করা হবে বলে জানা গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ পঞ্চানন কুন্ডু জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন বিভাগ কিংবা অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তাব আসে। জায়গার অভাবে তা করা যায়না। নতুন ক্যাম্পাস তৈরি হলে ক্যানসার ইউনিট সহ নানা জটিল চিকিৎসা পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বার্ণ ইউনিট এখন থাকলেও, তা খুবই ছোটো, সেটাও বড় করা হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রজেক্ট নিয়ে এগোনো সম্ভব হবে।” অপরদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের দুই সচিব ডঃ সৌমিত্র মোহন এবং ডঃ অজয় চক্রবর্তী।