দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ এপ্রিল:৪৩ ডিগ্রির গনগনে আগুনে পুড়ছে পশ্চিম মেদিনীপুর সহ গোটা জঙ্গলমহল। প্রায় একই অবস্থা অবশিষ্ট দক্ষিণবঙ্গেরও! বইছে ‘লু’ বা গরম বাতাস (Loo)। সকাল ১০ টা থেকেই বাতাসে যেন আগুনের হল্কা ছুটছে! এদিকে, এখনই বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। অন্তত এপ্রিলের ২৯-৩০ পর্যন্ত এমনই বৃষ্টিহীন অস্বস্তিকর আবহাওয়া নিয়ে চলতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। এই পরিস্থিতিতে, শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (DPSC), প্রাতঃকালীন স্কুলের সময়সীমা (School Hours) ১ ঘন্টা কমিয়ে দিল। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে পরিবর্তিত সূচি মেনে স্কুল হবে বলে জানিয়েছেন ডিপিএসসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই।
উল্লেখ্য যে, গত ১ এপ্রিল থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি সকাল ৬ টা থেকে সকাল ১১ টা অবধি হচ্ছে। কিন্তু, সোমবার (২৫ এপ্রিল), শিক্ষা দপ্তরের তরফেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে, শিক্ষা আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশিকা আসার পরই সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, সকাল ৬ টার পরিবর্তে স্কুল হবে সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে এবং ১১ টার পরিবর্তে স্কুল ছুটি হবে সকাল সাড়ে ১০ টায় (শনিবার ৯ টা পর্যন্ত)। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। একই পথে হাঁটা শুরু করেছে বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিও। জেলা শহর মেদিনীপুরের নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের (Vidyasagar Sishu Niketan) তরফেও মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্কুলের সময়সীমা আধঘন্টা করে কমানো হচ্ছে এবং স্কুল শুরুর সময়সীমাও প্রায় আধঘন্টা করে এগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অত্যধিক গরম এবং তাপপ্রবাহের কারণে, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, অবিলম্বে ছোটোদের স্কুল ছুটি দেওয়ার দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।”