thebengalpost.in
জেলায় দাপট কমছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের :

দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ জুন: নিঃসন্দেহে দাপট কমছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের! গত এক সপ্তাহে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দৈনিক সংক্রমণ ধারাবাহিকভাবে নিম্নমুখী হয়েছে। কমেছে পজিটিভিটি রেট। তবে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মৃত্যুর হার কমেনি জেলায়! জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ৭ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন যথাক্রমে- ২৮২ (৫ জুন), ২০৩ (৬ জুন), ১৯৩ (৭ জুন), ১৯২ (৮ জুন), ১৬২ (৯ জুন), ১৫৪ (১০ জুন) এবং ১৬৯ (১১ জুন)। ১২ ই জুনের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত হাতে পাওয়ার আগে, জেলায় গত ৭ দিনের করোনা চিত্র তুলে ধরা হলো জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী। এ নিয়ে রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, “করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শক্তি নিঃসন্দেহে কমছে বলা যেতে পারে। ধারাবাহিকভাবে কমছে দৈনিক সংক্রমণ ও পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। তবে, কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার অন্যতম কারণ লকডাউন বিধিনিষেধ, তাই সামান্য অসতর্কতা বা কোভিড বিধি অমান্য করা, পরিস্থিতি পুনরায় বিপজ্জনক করে তুলতে পারে!” কিন্তু, দৈনিক মৃত্যুর হার কমেনি এখনও পর্যন্ত, বরং তা সামান্য বেড়েছে! গত সপ্তাহে ছিল ১.৪১ শতাংশ, এই মুহূর্তে তা ১.৪৪ শতাংশ (৯ জুনের রিপোর্ট অনুযায়ী) হয়েছে এবং গত ২-৩ দিনেও জেলার করোনা হাসপাতালগুলোতে গড়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, বাড়িতে ও বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর তথ্য ধরলে গড়ে প্রায় ১০ জন! এর কারণ সম্পর্কে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, “সংক্রমণের দাপট কমলেও, যারা ইতিমধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন বা হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই নানা ধরনের কো-মর্বিডিটিস আছে কিংবা দেরিতে হাসপাতালে আসছেন, সেক্ষেত্রে কিছু করা যাচ্ছেনা! কারণ, ভ্যাকসিন বেরোলেও কোভিডের জীবনদায়ী ওষুধ এখনও বেরোয়নি। আর, করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে খুব কম সংখ্যক মানুষের ।” রাজ্যের সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী কিংবা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ নিমাই চন্দ্র মন্ডল, সকলেরই বক্তব্য, “দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিনেশন হলে মৃত্যুর হার আরও কমবে।” তবে, এই মুহূর্তে জেলায় ভ্যাকসিনের ভাঁড়ারে টান! কবে আসতে পারে ভ্যাকসিন? সদুত্তর দিতে পারেননি স্বাস্থ্য কর্তারা। তবে, আরও চাপ কমেছে জেলার করোনা হাসপাতালগুলোতে। এই মুহূর্তে, জেলার করোনা হাসপাতাল গুলিতে ৭০ শতাংশ শয্যাই ফাঁকা আছে (প্রায় ৭০০ শয্যাতে রোগী ভর্তি আছে ২০০’র কাছাকাছি)।

thebengalpost.in
জেলায় দাপট কমছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের :

এদিকে, জেলা শহর মেদিনীপুর ও সংলগ্ন সদর ব্লকে মোট ৩৩ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে গত চব্বিশ ঘণ্টায়। এর মধ্যে- মহতাবপুরে ২ জন, রবীন্দ্রনগরে ৩ জন, লালদীঘিতে ২ জন, তোলাপাড়ায় ৫ জন এবং খাপ্রেলবাজার, নতুন বাজার হবিবপুর, চিড়িমারসাই, ভীমচক, উদয়পল্লী, সুকান্তপল্লী, মিত্র কম্পাউন্ড, তাঁতিগেড়িয়া, নেপালীপাড়া, কেরানীচটি, জবরডাঙা, আবাস, যমুনাবালী, বাড়ুয়া ও মাদারবনীতে ১ জন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। কোতোয়ালী থানার অধীন আরও ৩ জন এবং গুড়গুড়িপাল থানার অধীন চাঁদড়াতে ২ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন গত চব্বিশ ঘণ্টায়। অপরদিকে, খড়্গপুরে গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ জন। এর মধ্যে শহরে ২৩ জন, রেল সূত্রে ৫ জন এবং আইআইটি’তে ৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে, বেলদা-নারায়ণগড়ে ১০ জন, দাঁতনে ১৫ জন ও কেশিয়াড়িতে ১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন গত চব্বিশ ঘণ্টায়। ডেবরায় ৪ জন, সবংয়ে ৩ জন এবং পিংলায় ৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে গত চব্বিশ ঘণ্টায়। গড়বেতার তিনটি ব্লক মিলিয়ে ১৭ জন, শালবনী ব্লকে ৬ জন এবং ঘাটাল মহকুমায় ৩৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন গত চব্বিশ ঘণ্টায়।