তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ মে:আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় দু’দুবার পিছিয়ে গিয়েছিল চাষ। তার পরেও তরমুজ চাষ করে এবার ফলন ভালো হয়েছিল। কিন্তু, এবছর একেবারেই লাভের মুখ দেখছেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা সহ ঘাটাল মহকুমার তরমুজ চাষিরা। অন্যদিকে, মরসুম শেষের মুখে মাঠ থেকে আরও তরমুজ উঠছে। কিন্তু, পাইকারি হচ্ছে মাত্র ৬ টাকা প্রতি কিলোতে। সবমিলিয়ে, বিঘের পর বিঘে জমিতে তরমুজ চাষ করেও কপালে চিন্তার ভাঁজ চাষিদের! প্রসঙ্গত, গ্রীষ্মকালের কাঠফাটা রোদে আর গরমের সময়ে রসালো ফল তরমুজের কোনো বিকল্প হয়না। একদিকে, তা যেমন শরীরে জলের অভাব দূর করে, ঠিক তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত ভালো। কিন্তু, সেই তরমুজ এখন রাস্তায় গড়াগড়ি দিচ্ছে। যদিও, জেলা শহর মেদিনীপুর, খড়্গপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় এখন দাম ২৫-৩০ টাকা কেজি। তবে, দাম পাচ্ছেন না চাষিরা!

thebengalpost.net
মাঠে পড়ে তরমুজ :

উল্লেখ্য যে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার বড়আকনা, কালাকড়ি, মানিককুণ্ডু সহ চন্দ্রকোনার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই তরমুজ চাষ হয়। প্রত্যেক বছর এই এলাকার চাষিরা জমি থেকে আলু ওঠার পরই, জমিতে লাগিয়ে দেন তরমুজ বীজ। আর, সেই তরমুজ বাজারে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার আশা করেছিলেন তরমুজ চাষিরা। কিন্তু, ভালো ফলন হলেও, এ বছর বীজের দামের তুলনায় তরমুজের দাম কম হওয়ায়, লাভের মুখ দেখছে না তরমুজ চাষিরা! তরমুজ চাষিদের দাবি, যেখানে ২৫০০-৩০০০ টাকা প্রতি কেজি মূল্যে তরমুজ বীজ কিনতে হত, সেখানেই এই বছরে তরমুজ বীজের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। তাঁদের ৩৬০০- থেকে ৪০০০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে তরমুজ বীজ কিনতে হয়েছে। তারপরেও রয়েছে কীটনাশক, ঔষধ সহ নানান খরচ। তার উপরে, এই বছর এই চাষ অনেকটাই পিছিয়ে গেছে প্রাকৃতিক বিপর্যয় জাওয়াদের কারণে। ফলে, গ্রীষ্মকাল পড়ার অনেক পরে তরমুজ উঠছে এই সমস্ত এলাকায়। যার ফলে, এই বছর ঘাটাল মহকুমা তথা চন্দ্রকোনার তরমুজ চাষিরা সঠিক সময়ে বাজার ধরতে না পারার কারণেও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। চাষিদের মতে, চন্দ্রকোনার এইসব এলাকার তরমুজ প্রতিবছর গ্রীষ্মে পাড়ি দিত ভিন জেলাতেও। কিন্তু, এই সময়ে তরমুজ পাইকারি হচ্ছে প্রতি কেজি মাত্র ৬ টাকা দরে। ফলে, চরম ক্ষতির মুখে চাষিরা!

thebengalpost.net
দাম নেই তরমুজের: