দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ ডিসেম্বর: জেলাজুড়ে কৃষকদের হাহাকার! সরকারের প্রতি করুণ আর্তি। কৃষিঋণ মুকুবের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন অসহায় কৃষকদের। তাঁদের আবেদন, “এমনিতেই এই বছর তিন-চারবার বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তারপরেও ফের কৃষি ঋণ নিয়ে ধান, আলু লাগিয়েছি। জাওয়াদের বৃষ্টি সেটাও শেষ করে দিয়েছে। এবার সেই কৃষি ঋণ মুকুব না করলে, নতুন করে আর চাষ করতে পারবনা। আর, চাষ করতে না পারলে সারা বছর খাব কি! সপরিবারে মৃত্যুবরণ করা ছাড়া উপায় থাকবে না”। এমনই কাতর আবেদন নিয়ে এবার সমবায় সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর এলাকার কৃষকরা। সোমবার কেশপুরের ধলহারা সমবায় সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। সমবায় সমিতিতে নিজেদের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমাও দিলেন।

thebengalpost.net
কেশপুরে কৃষকদের আন্দোলন :

প্রসঙ্গত, জাওয়াদের প্রভাবে অতিভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চাষিরা। ঋণ নিয়ে চাষ করে কার্যত সর্বস্বান্ত হয়েছেন কেশপুর এলাকার চাষিরা। সেই ঋণ মুকুবের দাবি নিয়ে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ১৩ নম্বর ধলহারা অঞ্চলের ধলহারা সমবায় সমিতির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন, এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। আন্দোলনরত সঞ্জয় সিট, অশোক কারক, রেখা বাউড়িরা বললেন, “সমবায় সমিতি থেকে যে ঋণ নিয়ে আমরা চাষ করেছিলাম। দয়া করে তা মুকুব করুক সরকার। জলে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ধান, আলু, সবজি কিছু নেই। ‌নতুন করে ঋণ না দিলে, আমরা আর চাষ করতে পারবনা। আমরা একেবারে শেষ হয়ে যাব”। এই সম্বন্ধে ধানঘরা সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে নীহাররঞ্জন রায় জানান, তাঁরাও কৃষকদের এই দাবিকে সমর্থন করেন। প্রায় এক কোটির উপর লোন ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়ে গেছে এই সমিতি থেকে। কৃষকদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এই আবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানাবেন। জানা গেছে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলো বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।