দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৬ এপ্রিল:একই দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরে। ডেবরার কাছে জাতীয় সড়কের উপর প্রথম দুর্ঘটনায় মেদিনীপুর শহরের একটি পরিবারের ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে ৭ বছরের এক শিশু! সকাল ৯ টা-সাড়ে ৯ টা নাগাদ ওই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এর কয়েক ঘন্টা পরই, সবং গ্রামীণ হাসপাতালের চার চিকিৎসক এবং তাঁদের গাড়ির চালক দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন! সবং থানার বেলকিমোড়ে এই মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে, স্বাস্থ্য দপ্তরের বোলেরো গাড়িটি উল্টে পড়ে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে। গাড়িতে ছিলেন, দুই মেডিক্যাল অফিসার, যথাক্রমে- ডাঃ অর্পিতা মাইতি জানা, ডাঃ সুমিত্রা দাস এবং দুই স্বাস্থ্যকর্মী, যথাক্রমে- মলয় মাইতি ও অনন্ত পণ্ডিত। চালক বাবু খাঁন সহ সবং হাসপাতালের এই চার চিকিৎসকই গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, “তাঁদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি টিমও।”
জানা গেছে, সবং গ্রামীণ হাসপাতালের স্কুল হেলথের একটি টিম শনিবার দুপুর বারোটা-সাড়ে বারোটা নাগাদ দশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে সবং গ্রামীণ হাসপাতালের দিকে ফিরছিল। সেই সময় চাঁদকুড়ি অঞ্চলের বেলকিমোড়ের কাছে ডেবরা-পটাশপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁদের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্বাস্থ্য দপ্তরের গাড়িটি উল্টে পড়ে রাজ্য সড়কের পাশে নয়ানজুলিতে। চালক এবং চার জন স্বাস্থ্য কর্মী গুরুতর আহত হন। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থা গুরুতর থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। প্রয়োজনে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালেও পাঠানো হতে পারে বলে জানা গেছে! তবে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ইতিমধ্যে তাঁদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।