দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ অক্টোবর: ফুটফুটে এক কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হল মায়ের! রক্তক্ষরণ (bleeding) বন্ধ করতে না পারাতেই ওই প্রসূতির মৃত্যু বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরের পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে! জানা যায়, খড়্গপুর গ্রামীণ থানার চকনারায়ণ (রাউতমনি) এলাকার গৃহবধূ, বছর ২৩-র মামনি সর্দার সিংহের হঠাৎ করেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে সোমবার সন্ধ্যে ছ’টা নাগাদ তাঁকে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, মামনির শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে দ্রুত চিকিৎসকেরা সিজার বা অস্ত্রপচারের (Caesarean section) কথা বলেন। বাড়ির সদস্যরা রাজি হওয়ার পরই তাঁকে OT -তে নিয়ে যাওয়া হয়।

thebengalpost.net
ময়নাতদন্তের পথে:

এরপর, সন্তান প্রসবের জন্য সিজার বা অপারেশন করা হয়। সি-সেকশন বা সিজারের মাধ্যমে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় মামনি। তবে, সন্তান জন্ম দেওয়ার পরও ব্লিডিং বা রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি তাঁর। চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে রাত প্রায় দুটো নাগাদ মৃত্যু হয় মামনির। পরিবারের সদস্যদের দাবি ভুল অস্ত্রপচারের জন্যই মৃত্যু হয়েছে মামনির! পরিবারের তরফে দায়িত্বে থাকা স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে ডেবরা থানায় এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরের পর ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ডেবরা থানার পুলিশ বাহিনী কোনোমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক (CMOH) ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “উপ মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক (৩)-এর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। তবে, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মেয়েটির উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। সেজন্যই হয়তো রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন চিকিৎসক। শিশুকন্যাটি ভালো আছে। তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যালের মাতৃমা বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।” মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।