দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১ মার্চ: হারানো চাকরি ফিরে পেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক প্রাথমিক শিক্ষক! হ্যাঁ, এটাই সত্য। জমি-জায়গা সংক্রান্ত বিবাদ থেকে, এলাকার কিছু মানুষের চক্রান্তের শিকার হয়ে, মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লোয়াদা চক্রের অন্তর্গত চন্দনপুর স্পেশাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সবুজ কান্তি মান্না। আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। সম্প্রতি, আদালত নির্দেশ দেয়, এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের (DPSC) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আর, এক্ষেত্রেই মানবতার নিদর্শন মেলে ধরলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ (DPSC) এর চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই। গত সপ্তাহেই তিনি সমস্ত পক্ষের সাথে কথা বলে উপলব্ধি করেন, ওই শিক্ষক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন! তাই, অবিলম্বে তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তিনি। সোমবার তাঁর হাতে সেই সম্পর্কিত কাগজপত্রও তুলে দেন কৃষ্ণেন্দু।

thebengalpost.net
চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই :

উল্লেখ্য যে, গত বছর জানুয়ারি মাসে জমি জায়গা সংক্রান্ত বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন শিক্ষক সবুজ কান্তি মান্না। তারপরই, মামলার কারণে তাঁকে কিছুদিন জেলেও যেতে হয় বলে জানা গেছে। চাকরি থেকেও সাসপেন্ডেড বা বরখাস্ত হয়ে যান। এরপর, গত এক বছর ধরে মামলা চলে। সেই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। হাইকোর্টের নির্দেশেই, বিষয়টি শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদকে। সম্প্রতি, সেই শুনানিতে গ্রামবাসী, ওই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক এবং সবুজ কান্তি বাবু-কে ডাকা হয়। এরপরই, চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই সিদ্ধান্ত নেন, শিক্ষক সবুজ কান্তি মান্না-কে তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে। সেই মতো, সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে চাকরিতে পুনর্বহাল হলেন ওই শিক্ষক। এখনও প্রায় ১৫-১৬ বছর তাঁর চাকরি আছে। সোমবার চোখে আনন্দাশ্রু নিয়ে সবুজ কান্তি জানিয়েছেন, “ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চাকরি হারিয়েছিলাম। চেয়ারম্যান স্যারের মানবিকতায় তা ফিরে পেলাম প্রায় এক বছর পরে। ঈশ্বর ওনার মঙ্গল করুন, এটুকুই প্রার্থনা।” অন্যদিকে, চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিষই বললেন, “নিজের কর্তব্যটুকু করেছি শুধুমাত্র। মানবদরদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-ই তো আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা।”