তনুপ ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৮ ডিসেম্বর: শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ছিল রাজ্যের শীতলতম দিন! বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রির আশেপাশে। গড় তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস আনুসারে, আরও নামতে পারে শীতের পারদ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা জুড়ে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালে ঠান্ডার জেরে রাস্তাঘাট শুনশান, চায়ের দোকানে গরম চা খেতে ব্যাস্ত অনেকেই। প্রয়োজনের তাগিদে যারা রাস্তায় বেরিয়েছেন গরম পোশাক, মাথায় টুপি, মাফলার জড়িয়ে বেরিয়েছেন। অনেকে আবার অন্যভাবে শীতকে উপভোগ করছেন। আগুন জ্বালিয়ে তাপও নিচ্ছেন। অপরদিকে কড়া শীতে জবুথবু অনেকেই। তবে, এই শীতে কিছুটা হলেও খুশির হাওয়া কৃষক মহলে। শীতের প্রকোপে মানুষজন জুবুথুবু হলেও খুশি ঘাটাল মহকুমা সহ জেলার কৃষকরা। এমনিতেই মহকুমার কৃষকেরা বার বার বন্যা, জাওয়াদের জেরে নাস্তাবুদ। তা সত্ত্বেও কৃষকেরা খানিকটা খুশি। এই ঠান্ডায় আলু এবং সবজি চাষ ভালো হবে বলে তাঁদের ধারণা।
বেশ কয়েকজন চাষী অমর পাত্র, তাপস হাজরা, অমল বেরা বলেন, এবার মনে হয় দুর্যোগ কেটেছে। শীতের মুরসুমী ফসলের ক্ষেত্রে জাঁকিয়ে শীত চাষের পক্ষে যথেষ্ট অনুকূল। বিশেষ করে আলু চাষে শীত যত বাড়বে, ফলন তত বেশি হবে। এমনকি, আলুতে রোগ কম হবে, যার ফলে চাষে কীটনাশকের খরচ কমবে। পান্ডুয়ার অমর পাত্র বলেন, “৪ বিঘা আলু লাগিয়েছিলাম, ১ বিঘা ঠিক আছে। বাকি তিন বিঘা নষ্ট হয়ে গেছে! ভেবেছিলাম আর চাষ করবো না। আবহাওয়া অনুকূল থাকায়, ভাবছি যে জমির আলু পচে গেছে, সেখানে কিছুটা আলু লাগাবো। আশা করছি এ বছর আলুর দাম হবে।” যদিও বিষয়টি অনিশ্চিত। তবুও, চাষিরা আশায় বাঁচে!