দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭ ডিসেম্বর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের গোলাড়ে দোকান মালিকের মারে (ধাক্কা দেওয়ায়) মৃত্যু হল ওই দোকানের এক কর্মীর! ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পথ অবরোধ করেন মৃতের পরিবার ও এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওই দোকানদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলেও জানা যায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তারাপদ দোলই (বয়স আনুমানিক ৪০) নামে গোলাড়ের এক ব্যক্তি শেখ শাহজাহান আলীর কাপড় ও হার্ডওয়ার দোকানে দীর্ঘ তিন বছর ধরে কাজ করতেন। মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ, কোনো একটি বিষয় নিয়ে হঠাৎই ওই কর্মচারীর সাথে মালিকের বাদানুবাদ শুরু হয়। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। তারপরই দোকানের মালিক শাহজাহান তারাপদকে জোরে ধাক্কা মারেন বলে জানা গেছে। সঙ্গে সঙ্গেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান তারাপদ! সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে এক স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরই মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা মৃতদেহকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন! পুলিশ গেলে পুলিশের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন উত্তেজিত জনতা। এরপরই শাজাহান আলী নামে ওই ব্যক্তিকে (দোকানদারকে) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রথমে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়। মৃতব্যক্তির পরিবার ১০ লক্ষ টাকা এবং যে দোকানে কাজ করতো সেই দোকানটি লিখে দেওয়ার দাবি জানায়। এমনটাই জানান মৃত জামাই বিধান খাঁ। অন্যদিকে দোকানদার শাজাহান আলী পরিবার জানায় তারা দু’ লক্ষ টাকা এবং ৩ ডেসিমল জায়গা লিখে দেবেন। এই শর্ত মেনে নেয়নি মৃতের পরিবার। তাঁরা জানিয়েছেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন এবং আইনি পথেই যাবেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শাহজাহান আলীকে গ্রেফতার করেছে কেশপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।