দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১০ আগস্ট: মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম থেকে যথাসময়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটালের কুশপাতা বঙ্গবাসী ক্লাবের মাঠে তাঁর কপ্টার নামে। সেখান থেকে সড়কপথে ঘাটালের ২ নং ওয়ার্ডের আড়গোড়া ১ নং চাতালে এসে উপস্থিত হন। উল্লেখ্য যে, ঘাটাল পৌরসভার ৮ টি ওয়ার্ড এখনও জলমগ্ন আছে। ২ নং ওয়ার্ডের রাস্তায় এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে নেন! ঘাটালের সাংসদ দেব (দীপক অধিকারী), দুই জেলার পাঁচ মন্ত্রী ও বিধায়কদের পাশে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ঘাটালের ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য প্রতি বছর জল যন্ত্রণার মধ্যে পড়তে হয় এই অঞ্চলের মানুষদের। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের বাস্তবায়ন জরুরি। সংসদে বারবার সরব হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করতে কোনওরকম উদ্যোগ নেয়নি। রাজ্য সরকার দুর্গতদের জন্য প্রশাসনিক সহায়তা সুনিশ্চিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমি সবাইকে অনুরোধ করব একে অপরের পাশে দাঁড়াতে।” এরপরই তিনি বলেন, দুই মেদিনীপুরের ৫ জন মন্ত্রী যথাক্রমে- জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, কারিগরী উন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী হুমায়ূন কবীর এবং ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) ও মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া’কে খুব শীঘ্রই দিল্লি পাঠানো হবে। তাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী’র সাথে কথা বলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
এদিন, বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তিনি দুর্গতদের হাতে রাজ্য সরকারের ত্রাণ সামগ্রীও তুলে দেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চার মন্ত্রী (মানস ভুঁইয়া, হুমায়ূন কবীর, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাত) ও পূর্ব মেদিনীপুরের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, সাংসদ দীপক অধিকারী, দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূঁইয়া, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া, পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি প্রমুখ। মুখ্যমন্ত্রী আজ ঘাটালের শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনও করে আসেন। এরপর, তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।