দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৮ জুলাই: অবৈধ বালি কারবারীদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেও, বৈধ বালি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ছিলো- তাঁদেরও নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এই অভিযোগ নিয়ে বুধবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন বৈধ বালি ব্যবসায়ীরা। বৈঠকে জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল ছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক তুষার সিংলা (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) এবং দপ্তরের আধিকারিকরা ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগদান করেন জেলার বালি ব্যাবসায়ীরা। এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈধ বালি ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম রাজেশ চক্রবর্তী।

thebengalpost.in
রাজেশ চক্রবর্তী :

জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে রাজেশ বাবু “মাইন এন্ড মিনারেলস আইন- ১৯” এর একের পর এক ধারা তুলে ধরেন বলে জানা গেছে। এই ব্যাখায় সন্তুষ্ট হন জেলাশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বালি তোলার ক্ষেত্রে মেশিন ব্যবহার করা যাবে কিনা, নদীর দু’পাড়ের কত ফুট পর্যন্ত খোঁড়া যাবে, বাফার জোনে কিভাবে বালি তোলার কাজ হবে তা আইনসম্মত ভাবে ব্যাখা করেন রাজেশ বাবু। তিনি জানিয়েছেন, “জেলার রাজস্ব আদায়ে অন্য ব্যবসাকে টেক্কা দিয়েছে বালি। লকডাউনে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেছে বালি। তাই প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ করেছি, দয়া করে সব বালি ব্যবসায়ীর ওপর মাফিয়া তকমা যেন না সেঁটে দেওয়া হয়। আমরা বৈধ বালি ব্যবসায়ী, মাফিয়া নই!” তিনি এও জানান, ইয়াস বিধ্বস্ত সুন্দরবন, দীঘা, মন্দারমনিতে হাজার হাজার বালি বস্তা তাঁরা পাঠিয়েছেন। সেখানকার গ্রাম বাসীরা তাকিয়ে থেকেছেন কখন বালির বস্তা আসবে! এদিনের বৈঠকে বালি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের উপর থেকে মাফিয়া তকমা তুলতে হবে। যাঁদের বৈধ কাগজপত্র আছে তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর (FIR) তুলতে হবে। তা না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামার পাশাপাশি বালি ব্যবসা বন্ধ করে লিজ প্রত্যাহার করে নেবেন। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসন উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।