দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ জুলাই: ১ লা জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বেসরকারি বাস চালানোর অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলাতেই চলেছেনা বেসরকারি বাস! মালিক পক্ষের বক্তব্য, প্রায় সেঞ্চুরি করতে চলেছে ডিজেলের দাম। স্টাফ দের বেতন আছে। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো হলে খরচ ওঠাতো দূরের কথা প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এনিয়ে, গতকাল (২ জুলাই) একটি বৈঠকে বসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব এবং শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র পরিবহন শাখার নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে স্থির হয়েছে, আপাতত ৭ দিন বাস চালানো হবেনা। সরকারি হস্তক্ষেপ বা কোনো সহায়তা ছাড়া কোনোভাবেই বাস চালানো সম্ভব নয়। তবে, কোনো মালিক যদি চান, তিনি বাস চালাতে পারেন। এক্ষেত্রে, মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের প্রায় ৪৫০ বাসের মধ্যে মাত্র দু’টি বাস চলছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, আনন্দপুর-হাওড়া এবং আরেকটি দূরপাল্লার বাস চলছে এই মুহূর্তে।

thebengalpost.in
পশ্চিম মেদিনীপুরে মাত্র ২ টি বেসরকারি বাস চলছে :

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি জানিয়েছেন, “এমনিতেই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে শতাধিক বাস বন্ধ হয়ে গেছে। কোভিড বিধিনিষেধের আগে, মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে ২০০ টি বাস চলাচল করত দৈনিক। কিন্তু, ডিজেলের ভয়ঙ্কর দাম বাড়ার পর, ভাড়া না বাড়িয়ে আর বাস চালানো সম্ভব নয়। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে তো কখনোই সম্ভব নয়। তাই, আপাতত আমরা ৭ দিন সময় দিয়েছি সরকারকে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” শুক্রবার অর্থাৎ ২ রা জুলাই মালিকপক্ষের সঙ্গে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র পরিবহন শাখার বৈঠকে স্থির হয়েছে, আপাতত ৯ ই জুলাই পর্যন্ত জেলায় বেসরকারি বাস চলবেনা। আইএনটিটিইউসি’র পরিবহন শাখার সভাপতি পার্থসারথি ঘনা জানিয়েছেন, “সরকারি সাহায্য ছাড়া বাস চালাতে পারবেন না মালিকরা, এমনটাই বৈঠকে জানিয়েছেন তাঁরা। কারণ, অতিমারী পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে সরকার হয়তো সায় দেবেনা। এদিকে, জ্বালানির ভয়াবহ মূল্য বৃদ্ধি, কর্মীদের বেতন সহ যা খরচ, তাতে মালিকদের পক্ষে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আগামী সাতদিন (২ তারিখ থেকে) মানবিক সরকারের কাছে বিবেচনার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।”