দ্য বেঙ্গল পোস্ট প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ এপ্রিল: সবে বৈশাখের ২ (১৫ এপ্রিল)। তাতেই পুড়ে ছারখার শহর মেদিনীপুর সহ প্রায় গোটা জঙ্গলমহল! সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহর মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) আবহাওয়া বিভাগ (Meteorological Park) জানিয়ে দিল, সোমবার মেদিনীপুর শহর সহ সংলগ্ন এলাকার (বা, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৪৬ (42.46) ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মরশুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেই জানা গেছে তথ্য ও পরিসংখ্যান ঘেঁটে। এর আগে, গত ৫ এপ্রিল জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকাল অর্থাৎ ১লা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার মেদিনীপুর শহর সহ সংলগ্ন এলাকার গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৯৮.৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে সোমবার দুপুরেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আজ (১৫ এপ্রিল) থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে তাপপ্রবাহের ‘হলুদ সতর্কতা’ (Yellow Alert) জারি থাকবে। শুধু তাই নয়, এই জেলাগুলি সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্র এবং অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে অবশ্য বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে, প্রবল লু বা তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির জন্য ইতিমধ্যে জেলাবাসীকে সতর্ক করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরী। আগামী ৪-৫ দিন দুপুরের দিকে বয়স্ক ও শিশুদের বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক ডঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী জানিয়েছেন, হালকা ও সুতির পোশাক পরিধান করা ছাড়াও; প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল কিংবা জলীয় খাবার-দাবার গ্রহণ করতে হবে। শসা, তরমুজ জাতীয় ফলমূল; ORS, ডাবের জল প্রভৃতি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তা।